গাজীপুরে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার
- গাজীপুর প্রতিনিধি
- ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
গাজীপুরে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করেছে প্রতিবেশী দুই কিশোর। গতকাল বুধবার বাসার পাশের গলি থেকে নাকে ও মুখে স্কচটেপ লাগানো বস্তাবন্দী অবস্থায় ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফারহানা আক্তার কুড়িগ্রাম জেলা সদর থানার চরবড়ইবাড়ি এলাকার শহীদুল ইসলামের মেয়ে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- কুড়িগ্রামের রাজারহাট থানার চকরাইহারি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সাজেদুল ইসলাম (১৬) ও টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার চৌধুরীপাড়া এলাকার হানিফ মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ আল নীরব (১৬)। তারা সবাই গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানাধীন বাইমাইল মধ্যপাড়া এলাকার সমেজ উদ্দিনের বাসায় সপরিবারে ভাড়া থেকে এলাকায় রিকশা সাইকেল মেরামতের কাজ করেন শহীদুল ইসলাম। তার স্ত্রী স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাসার পাশে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তাদের তিন বছরের মেয়ে ফারহানা আক্তার। স্বজনরা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরদিন বুধবার সকাল ১০টার দিকে বাসার পাশের গলিতে প্লাস্টিকের বস্তাবন্দী অবস্থায় তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। শিশুটির নাকে ও মুখে স্কচটেপ লাগানো ছিল। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে প্রতিবেশী দুই বখাটে কিশোর সাজেদুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ আল নীরবকে আটক করে এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় আটককৃতদের গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জিএমপির কোনাবাড়ি থানার ওসি কে এম আশরাফ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ওই দুই কিশোর শিশুটিকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তিনি আরো জানান, শিশুটিকে কৌশলে সাজেদুল ইসলাম তাদের ঘরে নিয়ে যায় প্রতিবেশী বন্ধু আব্দুল্লাহ আল নীরবকে নিয়ে। পরে দুই ওই বন্ধু শিশুটির নাকে ও মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। এ সময় শিশুটি নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে শিশুটির লাশ বস্তাবন্দী করে গলিতে ফেলে রাখা হয় বলে গ্রেফতারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা