চান্দিনায় ধর্ষণ চেষ্টার পর যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
- চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা
- ০৬ জুন ২০২৪, ০০:০০
কুমিল্লার চান্দিনায় একাধিক মামলার আসামি যুবলীগ নেতা তানভীর আহমেদ ভূঁইয়াকে (৩২) হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর দাবি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা কালে তার স্বামী ক্ষুব্ধ হয়ে তানভীরকে পিটিয়ে হত্যা করে।
গত মঙ্গলবার চান্দিনা উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গড়ামারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল সকালে গড়ামারা গ্রামের আক্কাস আলীর বাড়ি থেকে তানভীরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গড়ামারা গ্রামের গৃহবধূর স্বামী সেলিম মিয়াকে (৩৫) আটক করে পুলিশ।
নিহত তানভীর আহমেদ ভূঁইয়া একই ইউনিয়নের গনিপুর গ্রামের বাবুল ভূইয়ার ছেলে। তিনি বাড়েরা ইউনিয়ন যুবলীগ কমিটির সহ-সভাপতি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে বেশ সমালোচিত ছিলেন তানভীর। তার বিরুদ্ধে চান্দিনা ও তিতাস থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ জানান, রাত দুইটায় তানভীর তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার স্বামীর সাথে ধস্তাধস্তি ও মারধরের ঘটনা ঘটে। তার স্বামী তানভীরকে পিটানোর পর তানভীর অচেতন হয়ে পড়ে যায়। একপর্যায়ে তার মৃত্যু ঘটে। এ দিকে নিহত তানভীরের মা নিলুফা বেগম জানান, আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে আমার ছেলে ঘর থেকে বের হয়। রাত ১২টায় তার মোবাইলে ফোন করলে তানভীর আমাদেরকে আসতেছি বলে জানায়। তার পর থেকে আর ফোন রিসিভ করেনি। ওই মহিলা যা বলছেন তা মোটেও সত্য না।
নিহতের ছোট বোন তান্নি জানান, আমার ভাইকে হত্যাকারী সেলিম একটি সালিশের কথা বলে রাতে ঘর থেকে ডেকে নেয়। তাকে অন্য কোথাও খুন করে সেলিম তার বাড়িতে আমার ভাইয়ের লাশ নিয়ে মিথ্যা গল্প সাজিয়েছে।
বাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান হাবিব ভূঁইয়া জানান, আমিও ঘটনাস্থলে গিয়েছি, হত্যাকাণ্ডটি সন্দেহজনক। ঘটনাস্থলটি এতই ঘনবসতিপূর্ণ যে, ওই বাড়িতে কোনো উঠান নেই। বাড়ির বা পাশাপাশি মানুষ ঘটনাটি জানবে না সেটা হতে পারে না। স্থানীয় কোনো মানুষ মুখ খুলছে না।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) সুজন দত্ত জানান, নিহত তানভীরের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ও পায়ে কাটা চিহ্ন আছে। তবে কী কারণে হত্যা করেছে এ বিষয়ে এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য উদঘাটন করতে পারিনি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেলিমকে থানায় আনা হয়েছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
চান্দিনা থানার ওসি আহাম্মদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। শত্রুতার জেরে এমনটা হতে পারে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতের মা বাদি হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ছাড়া নিহতের বিরুদ্ধে চান্দিনা ও তিতাস থানায় অস্ত্র ও ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা