প্রত্যেকেরই আইনের আশ্রয় লাভ ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আছে : প্রধান বিচারপতি
- ময়মনসিংহ অফিস
- ০২ জুন ২০২৪, ০১:২৮
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকেরই দেশে আইনের আশ্রয় লাভ ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির অধিকার আছে। মানুষের সেই অধিকার নিশ্চিত করতে জেলা জজরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিচারাধীন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন তিনি। গতকাল শনিবার সকালে ময়মনসিংহ জেলা জজ আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্টার মশিউর রহমান, জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ পারভীন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মুহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞাসহ বিচারক ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে নগরীর টাউন হল অ্যাডভোকেট তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জেলা আইনজীবী সমিতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগদান করেন তিনি। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ফজলুল হকের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবুল কালামের সঞ্চালনায় সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করতেন। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমরা সবাই ধারণ করি। তিনি বলেন, সামরিক শাসন একটি অসাংবিধানিক শাসন ব্যবস্থা। আমরা বিচার বিভাগ সেই অসাংবিধানিক শাসনব্যবস্থাকে ‘অসাংবিধানিক’ বলেছি। সুপ্রিম কোর্ট পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনীকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমাদের দুর্বলতা আছে, বিচার বিভাগেরও দুর্বলতা আছে। আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করতে গিয়ে অন্তত ১২ জন বিচারক বিব্রতবোধ করেছি। এই বিচার বিভাগ স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আলবদর, আলসামসদের বিচার করেছে, বিচার এখনো চলমান রয়েছে। স্বাধীনতা ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে পারবে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সমৃদ্ধ চলমান রাখতে হলে প্রত্যেক জেলা ও উপজেলায় এবং ইউনিয়নে মুক্তিযুদ্ধ চর্চা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, একজন আইনজীবীর ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার লড়াই শুধু আদালতে সীমাবদ্ধ রাখলেই চলবে না। বরং একজন সুনাগরিক হিসেবে সমাজের প্রতিটি মানুষের জন্য ন্যায়বিচারভিত্তিক জীবনমান উপহার দেয়া একজন আইনজীবীর দায়িত্ব। বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ থাকতে হবে এই ভেবে যে, আমরা সৎ থাকতে পারছি কি না। আমার প্রত্যশা থাকবে, আপনারা প্রতিনিয়ত নিজেকে আত্মজিজ্ঞাসার সম্মুখীন করবেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন, রেজিস্টার মশিউর রহমান, সিনিয়র অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান, অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট কবির উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন খান, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক, অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোনা ও শেরপুর জেলা ও দায়রা জজ, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাসহ বিচারক ও সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা