পোশাক খাতের অর্জনকে কাজে লাগিয়ে ব্র্যান্ডিংয়ে জোর দিতে হবে : এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ জুন ২০২৪, ০১:২৮
পরিবেশবান্ধব তৈরি পোশাক কারখানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর কাছে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) কর্তৃক লিড স্বীকৃতি পাওয়া সেরা কারখানাগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশে অবস্থিত। তৈরি পোশাক শিল্পের এই অনন্য অর্জনকে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে জোরালো প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই। পাশাপাশি নিজেদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো, পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণ এবং আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশী ফ্যাশন ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার পরামর্শ দিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম। গতকাল শনিবার এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত আরএমজি এবং নিটওয়্যারবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তৈরি পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের প্রতি এই আহ্বান জানান তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং টর্ক ফ্যাশন্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অন্যান্য শিল্পের মতো তৈরি পোশাক খাতকেও নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তবে কম্প্লায়েন্সের দিক থেকে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অনেক দূর এগিয়েছে। এই অগ্রগতিকে কাজে লাগিয়ে এই শিল্পকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। গতানুগতিক পণ্য উৎপাদনের বাইরে আমাদের নন-কটন গার্মেন্টে মনোযোগ দিতে হবে। নিজেদের সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে একটি গ্লোবাল ফ্যাশন ব্র্যান্ড দাঁড় করাতে হবে।
সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আমিন হেলালী বলেন, বাংলাদেশের রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের দ্রুত রফতানি বহুমুখীকরণে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্পেও পণ্য উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যকরণের অনেক সুযোগ রয়েছে। ভ্যালুঅ্যাডেড পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল তৈরি এবং নতুন বাজার ধরতে আমাদের উদ্যোক্তাদের এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ফারুক হাসান জানান, ২০৩০ সাল নাগাদ তৈরি পোশাক শিল্পের রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক শ’ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্দর ও লজিস্টিকস সক্ষমতা বৃদ্ধি, ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের উন্নয়ন এবং পণ্যের স্থানীয় মূল্য সংযোজন বৃদ্ধিতে জোর দিতে হবে।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তৈরি পোশাক শিল্পের উৎপাদন ব্যয় স্বাভাবিক রাখতে গুণগত ও নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি নিশ্চিত করা, কাস্টমস ও বন্ডের জটিলতা হ্রাস, অনৈতিক প্রতিযোগিতা রোধ, স্থানীয় গার্মেন্ট এক্সেসরিজ শিল্পের সুরক্ষা ও উন্নয়ন, পণ্য জাহাজীকরণে লিড-টাইম কমিয়ে আনা, পণ্যের ন্যূনতম ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণসহ বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা