বাংলাদেশ ৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০১ জুন ২০২৪, ০১:০২
বাংলাদেশ ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। তিনি বলেন, সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। শুধু তামাক আইন নয়, সব ক্ষেত্রেই সচেতনতা প্রয়োজন। সবাই প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিজ্ঞা করব যে, ২০৪০ সালের মাঝে দেশকে তামাকমুক্ত করব।
গতকাল রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান। জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক তামাক নিয়ন্ত্রণে আজকের এ দিনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৮৭ সাল থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো দিবসটি পালন করে আসছে। তামাক কোম্পানির হস্তক্ষেপ প্রতিহত করি, শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করি- এ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও তামাকবিরোধী র্যালি, মেলা, আলোচনা সভা, সম্মাননা প্রদান, ক্রোড়পত্র প্রকাশসহ নানা আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আলোচনাসভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা স্মারক ২০২৪ তুলে দেন। আলোচনা সভা শেষে মন্ত্রী তামাকবিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং তার সুচিন্তিত মতামত দেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন তা পূরণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, তামাক উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবন প্রতিটা ক্ষেত্রেই পরিবেশ, জনস্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির ক্ষতি করে।
ধূমপান অধূমপায়ীদের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে ডা: সামন্ত লাল সেন বলেন, ধূমপান ও তামাক সেবনের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, ক্রনিক লাং ডিজিজসহ নানা অসংক্রামক রোগ দেখা দেয়। তামাকের কারণে পৃথিবীতে প্রতি বছর ৮৭ লাখ মানুষ অকালে মারা যায়।
পরে মন্ত্রী তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মাঝে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৪’ তুলে দেন। এ ছাড়া, তিনি তামাক বিরোধী মেলার বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. মো: জিয়াউদ্দীন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি বর্ধন জং রানা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত ডিজি আহমেদুল কবীর ও জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা