জলদস্যুদের প্রতিরোধে রাষ্ট্রগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে: আইএমও মহাসচিব
- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ৩১ মে ২০২৪, ০০:৫৫
ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) মহাসচিব জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেছেন, লোহিত সাগরে সোমালি জলদস্যুদের দ্বারা বিভিন্ন সময়ে জাহাজ আক্রান্ত হয়েছে। সম্প্রতি আমরা দেখেছি, বাংলাদেশী জাহাজ এম আব্দুল্লাহর নাবিকদের জিম্মি করা হয়েছে। লোহিত সাগরে সোমালি জলদস্যুদের প্রতিরোধে রাষ্ট্রগুলোকেই উদ্যোগ নিতে হবে। এক্ষেত্রে আইএমওর আইনগত পদক্ষেপ নেয়ার কোনো ক্ষমতা নেই।
গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আএমও’র ভিশন সংক্রান্ত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজ বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে। সমুদ্রে কার্বন নিঃসরণ কমালে বাংলাদেশেও উপকৃত হবে। আইওএম নৌখাতে প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। একই সাথে ধাপে ধাপে সমুদ্রে ‘জিরো কার্বন’ নিঃসরণেও কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক শিপিং বিশ্বের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। বিশ্ব বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই বন্দর থেকে বন্দরে হয়ে থাকে। বিপুলসংখ্যক জাহাজ চলাচলের কারণে নৌপথে যথেষ্ট পরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গত হয়। ২০৫০ সালের মধ্যে সামুদ্রিক বাণিজ্যের পরিমাণ তিনগুণ হবে ধারণা করা হচ্ছে। তাই এই শিল্পটির সংশোধনমূলক ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে গ্রিনহাউজ গ্যাস নির্গমনও বাড়বে।
তিনি বলেন, শিল্প নেতারা ইতোমধ্যে জলবায়ু বান্ধব জ্বালানি বিকল্প এবং জ্বালানি দক্ষতা নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, নেট জিরো ভিশন অর্জন আইএমও’র সব সদস্য রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবে। গত বছরের জুনে বাংলাদেশ জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে সঠিক পুনর্ব্যবহার (রিসাইক্লিং) করার জন্য হংকং কনভেনশন অনুমোদন করেছে। আমরা এই কনভেনশনের লক্ষ্য অর্জনে আইএমওর অব্যাহত সমর্থন প্রত্যাশা করি।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা