প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা স্থগিত
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৯ মে ২০২৪, ০১:৫৩
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে নিয়োগপ্রক্রিয়ার মৌখিক পরীক্ষার (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নিয়োগপরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় দায়ের করা একটি রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
একই সাথে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা তদন্ত করে আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। এ বিষয়ে রিটের পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ১৪ জুন ২০২৩ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) একটি পরীক্ষা হয়। এই পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়। এই ঘটনায় জড়িত অনেককেই পুলিশ গ্রেফতার করে। অনেকগুলো পত্রিকায় এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশের পরও এ বিষয়ে কোনো তদন্ত করা হয়নি। এরপরও ওই নিয়োগের ভাইভা পরীক্ষা চলছে। এটা তো একটা দুর্নীতি, দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এ রকম ঘটনায় কেউ তদন্তও করল না। এই ঘটনায় মন্ত্রণালয়ে যারা ছিলেন তারাও জড়িত থাকতে পারেন। এ জন্য এই ঘটনার আমরা আদালতের কাছে একটি তদন্তের নির্দেশ না চেয়েছি। ফেয়ার একটা পরীক্ষা নিতে না পারাটা কেন অবৈধ হবে না মর্মে আদালত রুল জারি করেছেন এবং ভাইভা পরীক্ষাটা ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে। তিনি একটা তদন্ত করে তদন্ত রিপোর্ট তিন মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আইনজীবীরা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপের (তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের ২১ জেলা) লিখিত পরীক্ষার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৪৬ হাজার ১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিতদের ভাইভা পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট ও বরিশাল বিভাগের ক্লাস্টারের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অধিদফতর। এরপর ২২ মার্চ দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। পরে ১৭ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রথম ধাপে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭০০, দ্বিতীয় ধাপে ৪ লাখ ৫৯ হাজার ৪৩৮ এবং তৃতীয় ধাপে ৩ লাখ ৪০ হাজার প্রার্থী আবেদন করেন।