১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
খাদ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে হাইকমিশনার

ভারতের বিভিন্ন পণ্যে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়

-

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জানিয়েছেন, ভারত সরকার নিজস্বনীতি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন পণ্যে বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকে। তবে সেটা বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য নয়। ভারত বাংলাদেশকে সাহায্য করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূল থাকায় ভারতে ফসল উৎপাদন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ভারত বাংলাদেশের প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য রফতানি করতে পারবে। এ সময় তিনি বাংলাদেশে গম রফতানিতে ভারত সরকারের আগ্রহের কথা জানান।
গতকাল সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সাথে বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। বৈঠকে দু’দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে ফলপ্রসু আলোচনা হয়। প্রণয় ভার্মা বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার জন্য এটা অনূকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশে খাদ্য মজুত পরিস্থিতি সন্তোষজনক। এ বছর বোরো ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ হতে চাহিদা পূরণ হওয়ায় বাংলাদেশ বিদেশ থেকে চাল আমদানি করছে না তবে রাশিয়া থেকে গম আমদানি করছে। ভারত থেকে গম আমদানি সম্ভব হলে সেটা আমাদের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার পরিচালিত খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে দরিদ্র মানুষ। টিসিবির আওতায় এক কোটি পরিবার নায্যমূল্যে পাঁচ ধরনের খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে। ৫০ লাখ পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ১৫ টাকা মূল্যে ৩০ কেজি করে চাল পাচ্ছে। সরকার ওএমএস এর আওতায় চাল আটা ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করছে। এ ছাড়া বছরে দু’বার প্রতি ইউনিয়নে ৭-৮ হাজার জন হতদরিদ্রকে ১০ কেজি করে চাল দিচ্ছে সরকার। এগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
এ সময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: ইসমাইল হোসেন ও খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো: সাখাওয়াত হোসেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement