কারাগারে গেলেই কাজী নজরুলকে স্মরণ করি : রিজভী
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ মে ২০২৪, ০১:২৯
যখন কারাগারে যাই তখন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমরা স্মরণ করি মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এই উপমহাদেশে প্রথম তার কণ্ঠে স্বাধীনতা উচ্চারিত হয়েছিল কারাগারেও গিয়েছেন। তিনি তো গণতন্ত্রের জন্য এক প্রতিবাদী কণ্ঠ ছিলেন। নির্যাতিত নিপীড়িত হয়েও তিনি তার শাণিত লেখনি চালিয়ে গেছেন মানুষের পক্ষে।
গতকাল শনিবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রিজভী এ কথা বলেন। সকাল ৭টার দিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে দলটির তার নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান।
বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিকতায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কতটা প্রাসঙ্গিক এমন প্রশ্নে রিজভী বলেন, অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক, সার্বিকভাবেই প্রাসঙ্গিক। তার যে মানবতার গান, স্বাধীনতার গান, বিপ্লবের গান আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজও আমরা গণতন্ত্র হারা, অধিকার হারা। এক ভয়ঙ্কর স্বৈরাচারের মধ্যে রুদ্ধকর শ্বাস অবস্থায় আছি। প্রতিটা অবস্থায় আমাদেরকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম উদ্বুদ্ধ করছেন প্রতিবাদ করতে। তার প্রতিবাদের ভাষায় অত্যন্ত শৈল্পিক, নৈপুণ্য দিয়ে গেছেন। এর মাধ্যমে আজও আমরা গণতন্ত্র ফেরানোর লড়াই, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমাদের যখন বিচার হয় তখন আমরা নজরুলকে স্মরণ করি। কারণ অন্য কোনো সামাজিক কারণে আমাদের সাজা দিচ্ছে না, বিচার করছে না। আমরা গণতন্ত্রের জন্যে লড়াই করছি এজন্য আমাদের সাজা দেয়া হচ্ছে, কারাগারে নেয়া হচ্ছে। নজরুলের মুখ থেকেই প্রথম সাম্য, স্বাধীনতার দাবি উঠেছিল বলেই তাকেও কারাগারে নেয়া হয়েছিল।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আশরাফ উজ জামান উজ্জ্বল, সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক সাঈদ সোহরাব, জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্যসচিব জাকির হোসেন রোকন, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান আউয়াল, বিএনপি নেতা শাহ আলম বেপারী, ঢাবি ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাজু আহমেদ, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহসাধারণ সম্পাদক শাহ পরান, কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা মিরাজ হোসেন, ফরহাদ প্রমুখ।
এ দিকে শনিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় রিজভী বলেন, সরকার চাচ্ছে জাতিকে একটি শৃঙ্খলে আবদ্ধ করতে। কিন্তু সরকারের ক্ষমতার পেরেক এবং তখতেতাউস যেকোনো সময় ভেঙে তছনছ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, আজকে দেশের নাগরিকদের সব অধিকার হরণ করা হয়েয়ছে। মানুষ যেন একটি বেড়ার মধ্যে বাস করছে। তাদের নিঃশ্বাস নেয়ার সুযোগ নেই। আমাদের উচিত জনগণের কাছে যাওয়া।
রিজভী বলেন, আজকে শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধরনটা এমন যে, মানুষের কাজে এলো কি না, জনগণ স্বস্তি পেলেন কি না সেদিকে কোনো ভ্রƒক্ষেপ নেই। উন্নয়নের নামে ফাঁকা আওয়াজ দেয়া হচ্ছে। যমুনা সেতুতে রেললাইন থাকা সত্ত্বেও আরেকটি রেল সেতু করার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, অথচ সিগন্যাল সিস্টেম উন্নত করা এবং ডাবল লাইন করলেই কিন্তু যানজট ও জনগণের ভোগান্তি হতো না।
লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে যাত্রাপথে দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ভয়াবহতা ও জনদুর্ভোগ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (এ্যাব) ঢাকা সেন্টার। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাব, ঢাকা সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক মো: মাহবুব আলম। প্রকৌশলী মো: মোতাহার হোসেনের সভাপতিত্বে ও প্রকৌশলী শাহীন হাওলাদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন বিএনপির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক এবং এ্যাবের সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মহাসচিব প্রকৌশলী আলমগীর হাসিন আহমেদ, প্রকৌশলী এ কে এম আসাদুজ্জামান চুন্নু, রুয়েটের অধ্যাপক প্রকৌশলী এস এম আবদুর রাজ্জাক, প্রকৌশলী মো: হানিফ, রুহুল আমিন প্রমুখ। এ সময় প্রকৌশলী কামরুল হাসান খান সাইফুল, গোলাম রহমান রাজীব, প্রকৌশলী আসিফ হোসেন রচিসহ আনেক প্রকৌশলী উপস্থিত ছিলেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা