১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

ঘুমের সমস্যায় হৃদরোগের ঝুঁকি

-


দৈহিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুম অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ও আরামদায়ক ঘুম আমাদের সক্রিয় ও সতেজ রাখে। সুস্বাস্থ্যের জন্য সময় ও পরিমাণ মতো ঘুমের পাশাপাশি পরিবেশও সমান গুরুত্বপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ঘুম উচ্চরক্তচাপ ও ডায়াবেটিসের কারণ। অনেকের মধ্যে ঘুমের সমস্যা দেখা যায়, যেমন-অনিদ্রা,স্লিপ অ্যাপনিয়া, অস্থির পায়ের সিন্ড্রোম ইত্যাদি। অন্যদিকে হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ঘুমের ব্যাধি হওয়ার প্রবণতাও বেশি থাকে।
ঘুমে রোগগুলো কীভাবে হার্টের ক্ষতি করে : ঘুমের রোগগুলো শরীরে প্রদাহ সৃষ্টি করে, যা হার্টের সমস্যাগুলোর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া (যেমন অনিদ্রা এবং স্লিপ অ্যাপনিয়া) হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যারা কম ঘুমায় (দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টার কম) তাদের মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন বা হার্ট অ্যাটাকের প্রবণতা বেড়ে যায়। স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির উচ্চরক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে, অথবা উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। যদি কারো স্লিপ অ্যাপনিয়া থাকে, তবে এ ধরনের ব্যক্তিদের মধ্যে শতকরা পঞ্চাশ ভাগের উচ্চরক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া যাদের উচ্চরক্তচাপ আছে তাদের হার্টের ছন্দে সমস্যা হতে পারে, যেমন অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন (এক ধরনের অনিয়মিত হৃদস্পন্দন) এবং ব্র্যাডিকার্ডিয়া (ধীর হৃদস্পন্দনহার)। গুরুতর স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন হওয়ার আশঙ্কা সুস্থদের থেকে চার গুণ বেশি হয়। স্লিপ অ্যাপনিয়ার জন্য চিকিৎসা না নিলে অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়।

স্লিপ অ্যাপনিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তির করোনারি আর্টারি ডিজিজ অথবা হার্টের রক্তনালীর রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। হার্টে রক্ত সরবরাহকারী ছোট রক্তনালীগুলো যদি কম অক্সিজেন সরবরাহ করে তাহলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়, যা পরে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বাড়ায়। করোনারি আর্টারি ডিজিজের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৭০ ভাগ রোগীর সি্লপ অ্যাপনিয়া আছে। স্লিপ অ্যাপনিয়া হার্ট ফেইলিউরকে আরো খারাপ করে তুলতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া থেকে হৃদরোগ
স্লিপ অ্যাপনিয়া হলে ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়, যা ১০ সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট সময় ধরে থাকে। এ সমস্যায় ঘুমের মাঝে শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। ঘুমের সময় বার বার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ায় হার্টে রক্ত সরবরাহ কমে যায়, যা ঘুমের মাঝে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এছাড়া প্রতিবার অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে হার্টবিট বেড়ে গিয়ে রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। গুরুতর সিøপ অ্যাপনিয়া থেকে হার্টের ওপর চাপ বেড়ে যায়, যা হার্টকে বড় করে, পরবর্তীতে হার্ট ফেইলিউর হয়। তাই খারাপ ঘুমের লক্ষণ থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন এবং কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা করুন।
নিম্নোক্ত লক্ষণগুলো থাকলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন-
মেজাজের ভারসাম্যে সমস্যা। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম। বিছানায় অস্থিরতা (ঘুম আসতে দেরি হওয়া অথবা রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাওয়া)। তীব্র নাক ডাকা। রাতে ভালো ঘুম হওয়া সত্ত্বেও পরের দিন সকালে সতেজভাবে জেগে না ওঠা। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement
নরসিংদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী নিহত বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বিএনপির শ্রদ্ধা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বাতাস নিয়ে দূষণে শীর্ষে ঢাকা ‘মধ্যপ্রাচ্যকে নিজেদের অনুকূলে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল’ শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা নামলো ৮ ডিগ্রিতে তালিবান মন্ত্রীর হত্যাকাণ্ডে আইএস-এর সম্প্রসারণ নিয়ে উদ্বেগ ভারতীয় সংবিধান লঙ্ঘন করে মোদী সরকার খুনি হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে : ড. মাসুদ যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত সমন্বয় গড়তে সংশোধিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করলো দেশ গড়ার দ্বিতীয় সুযোগ যেন কোনোভাবেই নষ্ট না হয় : আসিফ নজরুল লেককে ভয়েস অব আমেরিকার পরিচালক করলেন ট্রাম্প এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হার পাকিস্তানের

সকল