১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

চট্টগ্রামে অস্থির আদার বাজার কাঁচামরিচের দামে ট্রিপল সেঞ্চুরি

-

পবিত্র ঈদুল আজহা তথা কোরবানির ঈদের আরো তিন সপ্তাহের বেশি বাকি। কিন্তু এরই মধ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে সঙ্ঘবদ্ধ বাজার সিন্ডিকেট। হঠাৎ করেই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে মাত্র এক দিনের ব্যবধানে ১০০ টাকা বেড়ে কাঁচামরিচের দাম কেজি প্রতি ৩০০ টাকা ছুঁয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর খুচরা বাজারগুলোতে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায়। এক দিনের ব্যবধানে আদার দাম এক লাফে কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০ টাকা কেজি। বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁজও। প্রতি কেজি পেঁয়াজ এখন চট্টগ্রামের বাজারে ৭৫-৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের দামও বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।

সরেজমিন দেখা যায়, গতকাল সকালে নগরীর জামালখানের অস্থায়ী বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা দরে বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা। কাঁচামরিচের এমন অস্বাভাবিক দামে বিরক্ত ক্রেতারা। এমনিতেই সব ধরনের সবজির বাড়তি দামে মানুষের নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা, এর ওপর সাম্প্রতিক সময়ে নতুন খড়গ নামে আলু ও পেঁয়াজের দামে। সরকারের তর্জন গর্জনে এসব পণ্যের দাম তো কমেনি বরং উল্টো বেড়েছে। গতকালও প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে। এর সাথে এবার নতুন করে যোগ হলো আদা, রসুন ও কাঁচামরিচের বাড়তি দাম। মসলার উচ্চ মূল্য তো আছেই।

নগরীর চকবাজার ঘুরে দেখা গেছে তাজা বোঁটাযুক্ত কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা এবং অপেক্ষাকৃত একটু বাসি ধরনের প্রতি কেজি ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম বাড়ার কারণে বেশির ভাগ ক্রেতাদের ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচ কিনতে দেখা গেছে, যাদের অনেকেই একসাথে আধা কেজি বা এক কেজি মরিচ কিনতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি চাকরিজীবী এই প্রতিবেদককে বলেন, বাজারের হিসাব কোনোভাবেই মিলিয়ে উঠতে পারছি না। আজ একটা সবজির দাম বাড়ল, কাল আরেকটা। মাছের দাম এত বেশি যেন সে দিকে তাকানোই মানা। সব কিছুই নিয়ন্ত্রণহীন।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে আদার কোনো সঙ্কট নেই। কিন্তু ডলারের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে আমদানিকারক, আড়তদার ও ব্রোকাররা মিলে সিন্ডিকেট করে আদার দাম ১০ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। গতকাল খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আদা ২০০-২১০ টাকা বিক্রি হয়; যা খুচরা বাজারে এসে বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকা কেজি দরে। আমদানিকারক, আড়তদার ও ব্রোকাররা সিন্ডিকেট করে পেপারলেস মার্কেট তৈরির মাধ্যমে ফোনে ফোনে আদার দাম বাড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।

একই সাথে দাম বেড়েছে রসুনেরও। গতকাল খাতুনগঞ্জে প্রতি কেজি রসুন ১৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়, যা এক দিন আগেও ছিল ১৭৫ টাকা। আর খুচরাপর্যায়ে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২১০-২২০ টাকা কেজি দরে।

দেশে পেঁয়াজের কোনো সঙ্কট নেই, বরং খাতুনগঞ্জ পেঁয়াজে ঠাসা। তা ছাড়া ভারত রফতানি উন্মুক্ত করে দিয়েছে। কিন্তু এর কোনো ধরনের প্রভাব তো বাজারে নেই, বরং উল্টো কেজি প্রতি দু-এক টাকা করে প্রতিদিন বাড়তে বাড়তে ৫০ টাকা থেকে এখন ৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
ভোক্তাদের অভিযোগ বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকার সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। এখনই লাগাম না টানলে আসছে কোরবানির ঈদে কোরবানিদাতাদের আনুষঙ্গিক মসলাপাতি জোগাতে বেশ ভোগাবে বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement
শিবচরে ভারতীয় আগ্রাসন ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বাশার আল-আসাদের পতনে সিরিয়ানদের ভাগ্যে যা ঘটতে পারে গাজায় একদিনে আরো ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করল ইসরাইল ৬ বছর পর রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন খালেদা জিয়া রৌমারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় বৃদ্ধ নিহত কিশোরগঞ্জ সেন্ট্রাল প্রেস ক্লাবের সভাপতি আশরাফ, সম্পাদক আল আমিন ইসরাইলি পাইলটদের যুদ্ধবিমান না চালানোর আহ্বান সাবেক আইন কর্মকর্তার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা নিহত, ছেলে-মেয়েসহ আহত ৬ এবার ব্রিটিশ ব্যাংকে ‘ফ্রিজ’ করা হলো বাশারের ৫৫ মিলিয়ন পাউন্ড নোয়াখালীতে ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত বিজয় দিবস উদযাপনে প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ

সকল