১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
৬ কোটি টাকার ক্ষতি

তিন জেলায় আগুনে ৪৫ দোকান ও চার বসতঘর পুড়ে গেছে

-


নীলফামারী ও কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে অগ্নিকাণ্ডে ৪৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আগুনে চারটি বসতঘর ভস্মীভূত হয়েছে। এসব ঘটনায় ৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে।
নীলফামারী প্রতিনিধি জানান, নীলফামারী শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে গতকাল অগ্নিকাণ্ডে তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ওই এলাকার বৈশাখী সুইটস নামে মিষ্টান্নের দোকানে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়ে দ্রুত চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে বৈশাখী সুইটস সম্পূর্ণ ভাবে পুড়ে যায়। এ ছাড়া পাশের ঢাকা ইঞ্জিনিয়ার ওয়ার্কশপ ও একটি হোমিও ওষুদের দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নীলফামারী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

ঈদগাঁও (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে অগ্নিকাণ্ডে ৪২টি দোকান পুড়ে গেছে। গতকাল ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটাসহ ঐতিহ্যবাহী ফার্নিচার মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। রামু ও চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অগ্নিনির্বাপক দল এসে প্রায় তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকাণ্ডে দুই আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের বাবুলের ছেলে শফিক (৩৫) এবং ইউছুফেরখীল গ্রামের এনামুল হকের ছেলে কামাল উদ্দিন (৩০)।

আহতদের মধ্যে শফিকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত কামাল জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানান ফার্নিচার ব্যবসায়ী আবছার।
ব্যবসায়ীরা বলেন, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। আগুনে ৪২টি ফার্নিচার শোরুম ও কারখানা পুড়ে আনুমানিক ছয় কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকেরা হলেন, ইকবাল, ইসলাম, মুসলিম খান, জমির খান, ইলিয়াছ মিয়া, সিরাজুল ইসলাম, আবু ছিদ্দিক, নুরুল আমিন, নুরুল ইসলাম, মোজাফফর আহমদ, ফরিদুল আলম, ফোরকান আহমদ, রফিক, জসিম, ফারুক, গিয়াস, বাবুল, কাশেম ও শাহজাহান প্রমুখ।
রামু ফায়ার স্টেশনের লিডার মো: হাসান চৌধুরী জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। এর কিছুক্ষণ পর রামু ও চকরিয়া ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট একযোগে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। টানা ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমা নয়া দিগন্তকে বলেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আগুনে চারটি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গত সোমবার রাতে উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের পাতলাশী এলাকায় এ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাতে আগুনে পাতলাশী গ্রামের সালাম বেপারি ও সামাদ বেপারির মোট চারটি ঘর পুড়ে গেছে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনে আনুমানিক চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

 


আরো সংবাদ



premium cement