১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
হেলথ টিপস

ডায়রিয়ার ঘরোয়া চিকিৎসা

-


গ্রীষ্মকালে কমবেশি পেটের সমস্যা হতে পারে। তাপমাত্রার পারদ যত চড়বে, তত প্রভাবিত হবে শরীরের হজমক্ষমতা। গরম বাড়লে পরিপাকতন্ত্রের গতি ধীর হয়ে যায়। সেখান থেকেই হজমসংক্রান্ত নানান জটিলতার সৃষ্টি হয়। বদহজম, খাদ্যে বিষক্রিয়া, ক্ষুধা মরে যাওয়ার মতো একাধিক সমস্যা দেখা দেয় এ সময়। এসব সমস্যা বেশি হলে একটা সময় ডায়রিয়া হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায় কয়েক গুণ; বিশেষ করে শিশুদের। সে জন্য সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। চিকিৎসাবিজ্ঞানে ডায়রিয়া তিন ধরনের।

অ্যাকিউট ডায়রিয়া : খাদ্যে বিষক্রিয়া কিংবা গ্যাস্ট্রোঅ্যান্ট্রাইটিসের সমস্যার কারণে এমনটি হয়। এ ক্ষেত্রে পেট খারাপ, পেট খামচে ধরা, গা গোলানো, বমি বমি ভাব ও জ্বর আসে।
পার্সিসট্যান্ট ডায়রিয়া : এ ক্ষেত্রে অ্যাকিউট ডায়রিয়ার সমস্যাগুলো দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে।
ক্রনিক ডায়রিয়া : এ ক্ষেত্রে আগের ডায়রিয়ার লক্ষণগুলো চার সপ্তাহ পর্যন্ত থাকে। শিশুদের বেলায়ও তাই। একাধিক কারণে পরিপাকতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হলে এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়।

গরমকালে শরীর সুস্থ রাখতে এবং ডায়রিয়ার মতো পরিস্থিতি এড়াতে কিছু ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন। তবে শিশুদের বেলায় দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখতে হবে।
আদা চা : শরীর সুস্থ রাখতে আদা ভীষণ উপকারী। এটি অন্ত্রকে সুস্থ করে তোলে, হজমে সাহায্য করে এবং পেট খারাপ সারিয়ে তোলে। আদা চা দিনে দুই থেকে তিনবার খেতে পারেন।

ধনে পাতা ও লেবু : লেবুর প্রদাহ প্রতিরোধী ক্ষমতা রয়েছে। আর ধনে পাতায় বিশেষ তেল থাকে, যা পেটকে আরাম দেয়।
পুঁদিনাপাতা ও লেবু পানি : লেবুর প্রদাহ প্রতিরোধী কার্যকারিতা যেমন রয়েছে, তেমনি পুঁদিনাপাতারও অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল কার্যকারিতা রয়েছে। এগুলো ডাইজেসটিভ জুসের প্রবাহ বাড়িয়ে তোলে এবং হজমে সাহায্য করে।
বেদানা : পেট খারাপে দারুণ কাজ করে বেদানা। বেদানার পাতাও পাতলা পায়খানার সমস্যা সারিয়ে তোলে।
জোয়ান ও পানি : পেট ফোলা ও পেট ফাঁপা কমিয়ে জোয়ান খাবার হজমে সাহায্য করে।

লেবু ও লবণ : পুঁদিনাপাতার পাশাপাশি লেবু ও লবণ খেলেও পাতলা পায়খানার সমস্যা কমে।
তবে মনে রাখতে হবে, এসব ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুল করা যাবে না।
অন্য দিকে এই গরমে যাতে হজমের সমস্যা না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরে কেটে রাখা ফল ও পানীয় খাবেন না। বাসি খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিমিত ও হালকা খাবার খান।
চিকিৎসা : প্রাথমিকভাবে শিশুসহ বড়দের মুখে খাওয়ার স্যালাইন ডায়রিয়ার প্রধান চিকিৎসা। অ্যাকিউট ডায়রিয়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিজে থেকে সেরে যায়। কিন্তু পানিশূন্যতা হলেই বিপদ। তাই রোগী যাতে পানিশূন্যতায় না ভোগে, সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। তবে ব্যাকটেরিয়ার কারণে ডায়রিয়া হলে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়। শিশুসহ যে কারো ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শে। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement