ব্যাংক লুটপাটকারীদের নাম ৩০ জুনের মধ্যে প্রকাশের দাবি
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ২২ মে ২০২৪, ০০:০৫
বাংলাদেশের সব সম্পদ আজ লুট হয়ে যাচ্ছে, ফোকলা হয়ে যাচ্ছে অর্থনীতি। যারা লুটপাট করছে তাদেরকে তোষণ করা হচ্ছে। যারা ব্যাংক লুটপাটকারী, ঋণখেলাপি আর অর্থপাচারকারীদের নাম আগামী ৩০ জুনের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি এ কথা বলেন। দলটির নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখতার ও মনির উদ্দীন পাপ্পু বক্তব্য দেন। গতকাল অর্থপাচারকারী এবং ঋণখেলাপিদের তালিকা প্রকাশের দাবিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে প্রথমে গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের সমাবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। সমাবেশ ঠেকাতে সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চারদিক ও মতিঝিল এলাকায় পুলিশ সদস্যদের তৎপর দেখা যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি নিয়ে দলের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে আরামবাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে যেতে চাইলে শাপলা চত্বরের উত্তর দিক সংলগ্ন ফুটব্রিজের সামনে তাদের থামিয়ে দেয় পুলিশ। এ সময় পুলিশের সাথে দলটির নেতাকর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। বেলা ১টার দিকে পুলিশের বাধা পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে পাশের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে সমাবেশ করে দলটি।
সমাবেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, খেলাপি ঋণ ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে খেলাপি ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। আর প্রকৃত খেলাপি ঋণ আরও বেশি। এক ব্যাংকের পরিচালক আরেক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেয় না, কিন্তু তাদেরকে খোলাপিও দেখানো হয় না।’ রিজার্ভ নিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকার ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে বড়াই করত। এখন প্রকৃত রিজার্ভ নেমেছে ১৩ বিলিয়ন ডলারে।’ যারা রফতানি করে অর্থ ফেরত আনছেন না, তাদের তালিকা প্রকাশ করার দাবি করে তিনি বলেন, ‘ব্যাংক বসে পড়লে আমানতকারী আর টাকা ফেরত পাবেন না। বেতন হবে না কর্মীদের। এ পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে এখন দুর্বল ব্যাংক একীভূত করা হচ্ছে। আবার একই ব্যক্তির হাতে একাধিক ব্যাংক দেয়া হচ্ছে, এতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’