এক কর্মকর্তার লঘুদণ্ড, ক্ষমা চেয়ে পার আরেকজনের
- কাওসার আজম
- ২১ মে ২০২৪, ০০:৫৯
মৎস্য অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের দুই কর্মকর্তা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়ানোর পর অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় লঘুদণ্ড পেয়েছেন এক কর্মকর্তা। অন্য দিকে, দুঃখ প্রকাশ করে ‘অসাদাচরণ ও দুর্নীতি’র অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন আরেক কর্মকর্তা। গত ১৩ ও ১৬ মে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (সদ্য বিদায়ী) মোহাং সেলিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত পৃথক দু’টি প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অচল মোটরসাইকেল সচল দেখিয়ে অনিয়ম
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরস্থ মৎস্য প্রজনন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শায়লা শারমিন এর আগে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ছিলেন। আগের কর্মস্থলে থাকা অবস্থায় তার দফতরের জন্য ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের পেট্রল, ওয়েল ও লুব্রিকেন্ট এবং মোটরযান মেরামত ও সংরক্ষণ ব্যয় বাবদ বিল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। পরে মহাপরিচালক কর্তৃক পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান মোটরসাইকেলটি সচলই ছিল না।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা লায়লা শারমিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ, কারণ দর্শানোর জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানিতে প্রদত্ত বক্তব্য, দাখিলকৃত কাগজপত্র, তথ্য-প্রমাণ এবং সর্বোপুরি একজন নবীন কর্মকর্তা বিবেচনা করে ‘অসাদরণ ও দুর্নীতির অভিযোগর দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অর্থআত্মসাতে লঘুদণ্ড
সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমান পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলা সিয়নর মৎস্য কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় তিনি ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রোগ্রাম, ফেজ-২ (এনএটিপি-২) মৎস্য অধিদফতর অংশের এআইএফ-২ কার্যক্রমের আওতায় দক্ষিণ সোনাখালী সিআইজি মৎস্য চাষি সমবায় সমিতি আমড়াগাছিয়ার (মঠবাড়িয়া) অনুকূলে ‘পিকাপ ভ্যান ক্রয় ও পরিচালনার’ উপপ্রস্তাবটি মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কর্তৃক চূড়ান্ত অনুমোদনের পর সিআইজি কর্তৃক ক্রয় প্রক্রিযা সম্পন্ন করে মালামাল ক্রয় করার মিথ্যা প্রত্যায়নপত্র পাঠান। অর্থ ব্যয় না করেও বিল ভাউচার দাখিল, ব্যাংক হিসাব হতে বরাদ্দকৃত টাকা নিজ নামে উত্তোলন করে নিজ হেফাজতে রাখা এবং অব্যয়িত ৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ফেরত না দেয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজু হয়। তাকে কৈফিয়ত তলব করা হয়। অভিযুক্ত অলিউর রহমান জবাব দাখিল করেন এবং ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৎস্য কর্মকর্তা অলিউর রহমানের বিরুদ্ধে ‘অসাদাচরণ’-এর অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তিনি দণ্ড পাওয়ার যোগ্য। অপরাধের গুরুত্ব ও সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর ৩(খ) বিধি অনুযায়ী ‘অসাদচরণ’র অভিযোগে দোষী সাবস্ত করে একই বিধিমালার ৪(২)(ঘ) বিধি অনুযায়ী আদেশ জারির তারিখ হতে (১৩ মে,২০২৪) তার বেতন দুই বছরের জন্য বেতন গ্রেডের নি¤œতর দুই ধাপ অবনতিকরণ অর্থাৎ ৩৯,১৫০ টাকা হতে গ্রেডের নি¤œতর দুই ধাপে ৩৫,৫০০ টাকা মূল বেতনে অবনতিকরণ সূচক লঘুদণ্ড আরোপ করা হলো। দণ্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি ৩৫,৫০০ টাকা হতে বেতন প্রাপ্য হবেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা