জাতির স্বার্থে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে : রফিকুল ইসলাম খান
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২০ মে ২০২৪, ০০:০০
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সম্মানিত উলামায়ে কেরামদের একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কারো দাস হয়ে থাকার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই। সাময়িক কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেলেও প্রকৃত অর্থে শেষ পরিণতিতে সেখানে সুখকর কোনো কিছু আশা করা অসম্ভব। এজন্য বৃহৎ স্বার্থে জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে উলামায়ে কেরামদের ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। আলেমরা হচ্ছে এ জাতির রাহবার, উলামায়ে কেরামদের দেশের সাধারণ মানুষ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। বাংলাদেশে ঈমান নিয়ে যদি বেঁচে থাকতে হয়, সত্যিকারভাবে ঈমানের হক আদায় করতে হয়, তাহলে এখানে সম্মানিত উলামায়ে কেরামদেরকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে হকের ওপর অবিচল থাকতে হবে।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের উদ্যোগে দেশবরেণ্য দাঈ, মুফাসসির ও ওয়ায়েজদের নিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। কর্মশালায় প্রধান আলোচক ছিলেন কেন্দ্রীয় উলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী। আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের উলামা বিভাগের সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি মাওলানা নোমান, মাজলিসুল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ, মাজলিসুল মুফাসসিরিন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা ফখরুদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভাগীয় সেক্রেটারি ড. জাকারিয়া নুর প্রমুখ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, দেশে উলামায়ে কেরামদেরকে বাদ দিয়ে যে বা যারা যাই করতে চাই বা করুক না কেন তা তাদের জন্য অসম্ভব বিষয় হবে। ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে জনগণকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেয়ার জন্য উলামায়ে কেরামরা হচ্ছেন জাতির বাতিঘরের ন্যায়। দেশের উলামায়ে কেরামদেরকে বাদ দিয়ে ইসলামের নামে এদেশে কোনো কাজ সফল হবে না। সম্মানিত উলামায়ে কেরামরা আপনাদের বক্তব্য আলোচনা পথনির্দেশনা হিসেবে জনগণকে যেন আরো সুগঠিত করে তোলে, সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার স্বপ্ন দেখে। সে কাজে উলামায়ে কেরামরা হবেন আলোকবর্তিকা। পরস্পর সমালোচনার পরিবর্তে সংশোধনের উদ্দেশ্যে ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আলেমদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ জাতির জন্য অনেক বড় কাজ করার দায়িত্ব আপনাদের ওপরে ন্যস্ত আছে।
পঞ্চগড় : জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্যরা মাঠ পর্যায়ে সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তারা তৃণমূলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পৃক্ত। তাদের আমল, আখলাক দেখে বিশাল কর্মীবাহিনী নিজেদেরকে তৈরি করবে। শুধু তাই নয়, তাদেরকে দেখে সাধারণ জনগণও জামায়াতে ইসলামীকে চিনবে, জানবে। কর্মপরিষদ সদস্যরা নিজ নিজ বিভাগের দায়িত্ব ইখলাসের সাথে পালন করলে সংগঠনের ভিশন ’৪৮ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ।
গতকাল জামায়াতে ইসলামী পঞ্চগড় জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্যদের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। কর্মশালায় উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা মফিজউদ্দীন। দারসুল কুরআন পেশ করেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি আশরাফুল আলম। বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন জেলা আমির অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন এবং তারবিয়্যাত সেক্রেটারি শাহীদ আল ইসলাম। জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা ইকবাল হোসাইনের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুুষ্ঠিত এ কর্মশালা সঞ্চালনা করেন জেলা কর্মপরিষদ ও তারবিয়্যাত টিম সদস্য মাওলানা অলিউল্লাহ।
ঝিনাইদহ : জামায়াত কর্মীদেরকে সততা, দক্ষতা, যোগ্যতা ও আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করে দেশগঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন।
গতকাল ঝিনাইদহ জেলা জামায়াত আয়োজিত জেলা আমির অধ্যাপক আলী আজম মোহাম্মদ আবু বকরের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি আব্দুল আওয়ালের সঞ্চালনায় বার্ষিক ইউনিয়ন আমির/সভাপতি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা নায়েবে আমির অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে দারস পেশ করেন জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মুহাদ্দিস রবিউল ইসলাম। সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ আব্দুল হাই, সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক আবদুল আলিম সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
জনগণের কল্যাণে কাজ করছে জামায়াত-গোলাম পরওয়ার
জামায়তে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ইসলাম মানবতার ধর্ম। মানুষের কল্যাণের জন্যই আল্লাহ তায়ালা ইসলামী জীবনবিধান নাজিল করেছেন। ইসলামই শান্তি ও মুক্তির নিশ্চয়তা দেয়। বিপদ আপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে নির্দেশ দেয়। কল্যাণে ভূমিকা রাখতে বলে। জামায়াত ইসলামের আলোকে একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আর তাই জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াত।
গতকাল নরসিংদীর মনোহরদীর দৌলতপুর ইউনিয়নে ঘূর্ণিঝড়ে ৯১ জন কৃষকের কলাবাগান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তাদের আর্থিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। থানা আমির মাওলানা সানাউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোছলেহুদ্দীন, সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসেন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, মকবুল হোসেন এবং জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে শান্তি বেগম, নাছিমা বেগম, বিষ্ণু সাহা, যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন, বিএনপি নেতা শওকত কবীর, সানা, সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফসহ মোট ৯১ জনকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়।
গোলাম পরওয়ার বলেন, যতদিন না ইসলামের আলোকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে, ততদিন মানুষের মুক্তি মিলবে না। প্রকৃত মুক্তির স্বাদ পেতে হলে ইসলামের আলোকে একটি সমাজ প্রতিষ্ঠায় সবাইকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। দেশের মানুষের দুঃখদুর্দশায় এগিয়ে আসতে হবে। গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষায় সোচ্চার থাকতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা