নদী-পানির অধিকার আদায়ে ভাসানীর দৃষ্টান্ত চিরদিনের অনুপ্রেরণা
- ১৯ মে ২০২৪, ০০:০০, আপডেট: ১৮ মে ২০২৪, ২২:২৬
গতকাল এক আলোচনা সভায় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর নেতৃত্বে আয়োজিত ফারাক্কা লংমার্চের স্মরণ ও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের নদী-পানির অধিকার আদায়ে তার দৃষ্টান্ত এ দেশের মানুষকে চিরদিন অনুপ্রেরণা জোগাবে।
১৯৭৬ সালের ১৬ মে মওলানা ভাসানী ভগ্নস্বাস্থ্য নিয়ে ৯৬ বছর বয়সে তার মৃত্যুর ছয় মাস আগে এই লংমার্চ আয়োজন করেছিলেন, গঙ্গা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার বন্ধ করার দাবিতে। ফারাক্কা লংমার্চ স্মরণে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি জাতীয় প্রেস ক্লাবের মওলানা আকরম খাঁ হলে গতকাল এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন।
বক্তারা বলেন, মওলানা ভাসানীর এই আন্দোলন বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের সৃষ্টি করেছিল। তার ফলে বাংলাদেশের দাবীর প্রতি বিশ্বের জনমত তৈরি হয় এবং সে কারণে ১৯৭৭ সালে প্রথম গঙ্গা পানি চুক্তি সম্পাদন সহজ হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভার আলোচনায় অংশ নেন লেখক ও গবেষক সিরাজ উদ্দিন সাথী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, এখন ফারাক্কা লংমার্চের গুরুত্ব অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি। কারণ বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৭টি যৌথ নদীর ৫৪টিরই উজানে বাঁধ দিয়ে পানি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। তার ফলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে এখন আর বর্ষাকালে প্লাবনভূমি পানিতে প্লাবিত হয় না। শুষ্ক মওসুমে পানির অভাবে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দেয়, বর্ষাকালে তিস্তাসহ বিভিন্ন নদীর অববাহিকায় আঘাত হানে অস্বাভাবিক বন্যা। ভেসে যায় জমির ফসল এবং হাজারো মানুষের বসত ভিটা।
তারা বলেন, ২০২৬ সালে গঙ্গা চুক্তি নবায়ন করতে হবে। অন্যদিকে তিস্তা চুক্তি সম্পাদন জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অবস্থায় নদী-পানি নিয়ে দেশে সৃষ্ট জাতীয় ঐকমত্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী ভারতের সাথে সব নদীর অববাহিকাভিত্তিক টেকসই চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা