১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় আরেক মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

-


ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্মা জায়ান্ট অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনে আরেকটি বড় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। গবেষকরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে তৈরি করা অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনটির কারণে ‘ভ্যাকসিন-ইনডিউসড ইমিউন থ্রোমবোকায়টোপেনিয়া অ্যান্ড থ্রোমবোসিসের’ (ভিআইটিটি) ঝুঁকি বেড়ে যায়। ‘ভিআইটিটি’ রক্ত জমাট বাঁধার একটি অতি বিরল তবে খুবই মারাত্মক রোগ। এনডিটিভি।
ভিআইটিটি নামের এই রোগটি পৃথিবীতে নতুন না হলেও অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর নতুন করে এটির উদ্ভব হয়েছে। ২০২১ সালে করোনার সর্বোচ্চ প্রাদুর্ভাবের সময় অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনটি এশিয়ার দেশগুলোতে কোভিশিল্ড এবং ইউরোপে ভ্যাক্সজেভরিয়া নামে বিক্রি হয়েছে। গবেষকরা বলেছেন, ‘একটি অস্বাভাবিক বিপজ্জনক রক্ত অটোঅ্যান্টিবডি প্ল্যাটিলেট ফেক্টর ৪ নামের একটি প্রোটিনের বিরুদ্ধে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিল। যেটি ভিআইটিটির কারণ হিসেবে পাওয়া গেছে।’
সম্প্রতি ব্রিটেনের আদালতে ১০ কোটি পাউন্ড ক্ষতিপূরণের মামলা হয়েছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা গ্রহণের কারণে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় ভুগে বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই মামলার কার্যক্রম চলার মধ্যে বাজার থেকে নিজেদের করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘোষণা দেয় অ্যাস্ট্রাজেনেকা।

গত ফেব্রুয়ারিতে এক নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছিল যে, টিকা গ্রহণের পর টিটিএস বা থ্রম্বসিস উইথ থ্রম্বোসিটোপেনিয়া সিনড্রোম নামের একপ্রকার শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে, তবে তা খুবই বিরল। টিটিএস হলো এমন একটি শারীরিক জটিলতা, যার কারণে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্ত জমাট বেঁধে যায় এবং প্ল্যাটিলেট কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার শিকার হয়ে ২০২০ সালের টিকাদান কর্মসূচির শুরু থেকে এ পর্যন্ত অন্তত ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাজার থেকে করোনা টিকা প্রত্যাহার করে নেয়ার ব্যাপারে অ্যাস্ট্রাজেনেকা এক বিবৃতিতে বলেছিল, ‘নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ছাড়পত্র পাওয়ার পর এক বছরে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৩০০ কোটি করোনা টিকার ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে পৃথিবীজুড়ে। এসব টিকার ডোজ প্রাণ বাঁচিয়েছে বিশ্বের ৬৫ লাখেরও বেশি মানুষের। বিভিন্ন দেশের সরকার আমাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং করোনা মহামারী দূর করতে যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা বৈশ্বিকভাবে স্বীকৃত।’
‘কিন্তু বর্তমানে মূল করোনাভাইরাসটি প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ায় এবং এটি থেকে উদ্ভূত অন্যান্য ভ্যারিয়েন্ট দুর্বল হয়ে যাওয়ায় এসব টিকা এখন অতিরিক্ত। তাই সব টিকা বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোম্পানি। ইতোমধ্যে অংশীদারদের এ ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে।’

 


আরো সংবাদ



premium cement
ইসরাইলের সাথে সঙ্ঘাতে আগ্রহী নন সিরিয়ার নতুন নেতা সাবেক ফুটবলার কাভেলাশভিলিই জর্জিয়ার প্রেসিডেন্ট ঘড়ির সময় বদলাতে চান না ট্রাম্প ভারতীয় মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে অস্ত্র বাংলাদেশ : ওয়েইসি সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র খেয়ালখুশিমতো খরচ হয়েছে জলবায়ু তহবিলের অর্থ গুমে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা পেয়েছে কমিশন : র‌্যাব বিলুপ্তির সুপারিশ আরাকানে সাড়ে ৪ শ’সেনা নিহত, জান্তার নিয়ন্ত্রণ শেষ বিপাকে রোহিঙ্গারা ভারতসহ সাত ‘অসহযোগী’ দেশের তালিকা ঘোষণা যুক্তরাষ্ট্রের সিরীয়রা স্বাধীনতা উদযাপনের সময় দামেস্কে ইসরাইলের হামলা আগামীতে সবাইকে নিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে

সকল