তুরস্কের প্রতিনিধিদলের সাথে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মতবিনিময়
- চট্টগ্রাম ব্যুরো
- ১৬ মে ২০২৪, ০০:০০
তুরস্কের একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদল চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে গতকাল ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, প্রতিনিধি দলনেতা হেদায়েত ওনুর ওজদেন, তুর্কি দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কেনান কালাইসি, সিনিয়র বাণিজ্য দূত সেলমা বারদাক্কি, বিভিন্ন সেক্টরের বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্য ইজিট আকবাস, তাইলান কোবান, সামেত গাজী সেপিটসিওগলু, এরকাম ইলদিরিম, হায়দার হোকেলেকলি ও ফাতিহ আয়দিন, চেম্বার পরিচালক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী (আলমগীর), অঞ্জন শেখর দাশ, মাহফুজুল হক শাহ, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, মাহবুবুল হক মিয়া ও আখতার উদ্দিন মাহমুদসহ ব্যবসায়ী প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর চট্টগ্রামকে দক্ষিণ এশিয়ার লজিস্টিক ও ইকোনমিক হাবে পরিণত করতে সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এই অঞ্চলকে বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। তুর্কি ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং খাদ্যের বিশাল বাজার রয়েছে বাংলাদেশে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বিশাল বাজারে প্রবেশ করতে এবং ভৌগোলিক সুবিধা, বিনিয়োগবান্ধব ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ কাজে লাগিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, হালাল ফুড প্রসেসিং, আধুনিক অ্যাগ্রো প্রসেসিং সেক্টরে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি বাংলাদেশের ব্লু ইকোনমি এবং কক্সবাজারে বিদেশীদের জন্য বিশেষায়িত নাফ ও সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে তুর্কি ব্যবসায়ীদের একক বা যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।
প্রতিনিধি দলনেতা হেদায়েত ওনুর ওজদেন বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হচ্ছে চট্টগ্রাম। এখানকার বন্দর সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম ব্যবসার অন্যতম ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই হচ্ছে আলোচনার মূল লক্ষ্য। এর মাধ্যমে বিভিন্ন সেক্টর উদ্ভাবন এবং বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগের অংশ হিসেবে এই মতবিনিময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর কেনান কালাইসি বলেন, ভৌগোলিক ও জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দু’দেশের মধ্যে বিজনেস টু বিজনেস যোগাযোগ ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত দূতাবাস। এছাড়া বাংলাদেশের সাথে আমদানি ও রফতানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে তুর্কি দূতাবাস।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং এলএনজি গ্যাস এবং হালাল ফুডের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের অন্যতম জনসংখ্যা বহুল এদেশের বাজার ধরতে এবং হালাল ফুড প্রসেসিংসহ এসব সেক্টরে বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান বক্তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা