ঈদে চামড়া ব্যবসায়ীদের ব্যাংক ঋণ পেতে সহায়তা করবে শিল্প মন্ত্রণালয়
- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ১৩ মে ২০২৪, ০০:৫৮
চামড়া ব্যবসায়ীদের সহজ শর্তে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করবে শিল্প মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে সুপারিশও করা হবে।
এ বিষয়ে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, আসন্ন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চামড়া ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে সহজ শর্তে ঋণ পেতে সুপারিশ করা হবে। আগামী সাত থেকে আট মাস যেন তারা ব্যবসা করতে পারেন এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি ইস্যু করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যাতে এ বিষয়ে চামড়া ব্যবসায়ীদের দেয়।
গতকাল নিজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটুসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাড়তি চাপ হবে না। আমরা পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। আগের চেয়ে অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে ট্যানারি শিল্প নগরী। যেহেতু কোরবানি সামনে, ব্যবসায়ীদের আর্থিক অবস্থাও খুব ভালো না। এক্ষেত্রে ক্যাপিটাল শর্টফল যাতে না হয়, সে বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি ইস্যু করব। যাতে আগামী সাত থেকে আট মাসের জন্য অর্থসহায়তা তারা পান। আর ব্যাংকের চলমান ঋণ থাকবে ব্যাংকের পলিসি অনুযায়ী।
উল্লেখ্য, গতবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এর আগের বছর (২০২২) ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণয্ক্তু গরুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা আর ঢাকার বাইরে ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। সে হিসাবে গত বছর কোরবানির গরুর চামড়ার দাম ৬ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
গত বছর প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত খাসির চামড়ার দর ছিল ১৮ থেকে ২০ টাকা এবং লবণযুক্ত বকরির চামড়ার দর ছিল প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা। এবারো তা-ই রাখা হয়েছে।
এ দিকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখের বেশি পশু রয়েছে। আর দেশে চাহিদা রয়েছে এক কোটি ১০ লাখের মতো। অর্থাৎ চাহিদার তুলনায় ২০ লাখ পশু বেশি আছে।
গত বছর সারা দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টি। এর মধ্যে এক কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি পশু কোরবানি করা হয়।
কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি গরু, এক লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল, পাঁচ লাখ দুই হাজার ৩০৭টি ভেড়া এবং এক হাজার ২৪২টি অন্যান্য পশু ছিল।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা