সৌদিতে হজ ফ্লাইট পৌঁছানো শুরু
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ১১ মে ২০২৪, ০২:১০
চলতি ২০২৪ সালের হজযাত্রীদের বহনকারী বিমান সৌদি আরবে পৌঁছাতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে হাজীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবে পৌঁছেছে। বৃহম্পতিবার ৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের হজ টার্মিনালে পৌঁছেছে। বিমান বন্দরে হাজীদের অভ্যর্থনা জানিয়েছেন সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ অন্যরা। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১১টায় জেদ্দাস্থ বিমান বন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে প্রথম ফ্লাইট। আর ভারত থেকে ২৮৩ জন হজযাত্রীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিমানটি মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যে বিমানে চেপে এই যাত্রীরা এসেছেন, সেটি সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান পরিষেবা সংস্থা সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের। দেশটির পরিবহনমন্ত্রী সালে আল জাসের এবং হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আবদুল ফাত্তাহ মাশাত বিমানবন্দরে উপস্থিত হয়ে মৌসুমের প্রথম হজযাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছেন। গালফ নিউজ
হজযাত্রীদের স্বাগত জানানোর পর উপস্থিত সাংবাদিকদের পরিবহনমন্ত্রী আল জাসের বলেন, বাইরে থেকে আসা হজযাত্রীদের সর্বোচ্চ পরিবহন পরিষেবা দিতে সৌদির সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তা হজের মৌসুম শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকবে। তিনি আরো বলেন, চলতি মৌসুমে বিদেশি হজযাত্রীদের আসা-যাওয়ার জন্য সরকারি উদ্যোগে দেশটির ছয়টি বিমানবন্দরে মোট ৭ হাজার ৭০০ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। সেই সাথে সৌদির এক স্থান থেকে অন্যস্থানে যাওয়া-আসার জন্য যাত্রীদের সেবায় নিযুক্ত থাকবে ২৭ হাজারেরও বেশি বাস।
সৌদির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হতে যাচ্ছে হজ। তবে চন্দ্রোদয় সাপেক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা একদিন এগোতে বা পেছাতে পারে। চলতি ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ করতে সৌদিতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দেশটির অভ্যন্তরে এ বছর হজ করতে পারেন অন্তত ১০ লাখ মানুষ। এই ৩০ লাখ মানুষকে যথাযথ পরিষেবা প্রদানের চূড়ান্ত প্রস্তুতির পর্যায় পার করছে সৌদির বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সংস্থা।
হাজীদের দেয়া হবে জমজম পানি
সৌদি আরবের একটি কোম্পানি জানিয়েছে, আসন্ন হজ মৌসুমে হাজীদের মধ্যে তারা জমজম পানির চার কোটি বোতল বিতরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আল জামেজিমাহ নামের এই কোম্পানিটির বোর্ড মেম্বার ইয়াসের সুসু বলেছেন, এ বছর প্রত্যেক হাজীর জন্য ২২ বোতল পানি বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, হাজীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে সেগুলো দেয়ার জন্য একটি ডিজিটাল পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তারা।
যার মধ্যে রয়েছে একটি বারকোড সেবা। যেটি বোতলের ওপর প্রদর্শিত থাকবে। এটির মাধ্যমে পানির অর্ডার এবং সেগুলো সরবরাহ করা হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হবে বলে বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। হাজীদের মধ্যে এসব পানির বোতল যেন সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা যায় সেজন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মূল কার্যক্রম হবে মক্কা শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চল ও মক্কার প্রবেশ ও বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা