বরিশাল অঞ্চল জামায়াতের উপজেলা আমির সম্মেলন
- বরিশাল ব্যুরো
- ১১ মে ২০২৪, ০২:০৯
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেছেন, উপজেলা দায়িত্বশীলদেরকে ব্যাপক দাওয়াত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের সংগঠন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল অঞ্চলের উপজেলা আমির সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা এ কে এম ফখরুদ্দিন খান রাজির সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবর, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য পিরোজপুর জেলা আমির অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন ফরিদ, ভোলা জেলা আমির মাস্টার জাকির হোসাইন, ঝালকাঠি জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, বরগুনা জেলা আমির মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ হারুন।
অ্যাডভোকেট হেলাল তার বক্তব্য আরো বলেন, উপজেলা সংগঠনের প্রধান দায়িত্বশীল উপজেলা আমির, তার উদ্যোগ ও ব্যাপক কর্মতৎপরতা সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইসলামের শুমহান আদর্শ উপজেলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। দেশের মানুষের কাছে ইসলমের আদর্শ গড়ে তুলে তাদেরকে সংগঠিত করে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে বিপদে-আপদে সাধ্যমতো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর এই গৌরোজ্জ্বল ইতিহাস দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে হবে। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থায় দেশবাশী বিকল্প রাজনৈতিক আদর্শিক জানায়াতে ইসলমীকেই পাশে দেখতে চায়। সকল মত পথ এবং রাজনৈতিক শক্তির পরিবর্তে আস্থাভাজন বিশ্বস্ত রাজনৈতিক বিকল্প শক্তি হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে দেশবাশী প্রত্যাশা করছে। উপজেলা দায়িত্বশীল হিসেবে মজবুত ইমান উন্নত আমল এবং পরিচ্ছন্ন আখলাক (চরিত্র) মানুষের সুখ-দুঃখের সাথী হিসেবে জনগণের প্রকৃত বন্ধু ও ভাই হিসেবে দায়িত্ব পালন করে সমাজ পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে হবে। তিনি উপজেলার মজবুত সংগঠন কায়েমের জন্য ব্যাপক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
সম্মেলনে উপজেলার কাজের ওপরে প্রতিবেদনসহ বক্তব্য রাখেন জেলা আমিররা।
‘সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জামায়াতকে মানুষের কাছে প্রেজেন্ট করতে হবে’
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও যশোর-কুষ্টিয়া অঞ্চল পরিচালক মোবারক হোসাইন বলেন, তৃণমূল হল সংগঠনের মূল চালিকা শক্তি। তৃণমূল সংগঠন থেকেই নেতৃত্ব ও জনশক্তি তৈরি হয়। এ জন্য আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। প্রতিটি ঘরে ইসলামের সঠিক দাওয়াত পৌঁছাতে হবে। নিজেদের পরিশুদ্ধ করার পাশাপাশি সমাজের সব স্তরের লোকদেরও পরিশুদ্ধ করার চেষ্টা করতে হবে। ইসলামের সুমহান আদর্শ লোকদের কাছে তুলে ধরতে হবে। ইসলাম যে সবার জন্য কল্যাণকর তা ব্যবহারিক জীবনের মাধ্যমে মানুষের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। নিজেদের প্রতিটি কথা ও কাজের সাথে মিল রেখে চলতে হবে। সমাজের মানুষের কাছে নিজেদের আস্থাভাজন ও বন্ধু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই সমাজের মানুষ বিপদাপদে আপনাদের কাছে ছুটে আসবে। ব্যাপক দাওয়াত ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীকে মানুষের কাছে প্রেজেন্ট করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, ইকামাতে দ্বীনের কাজ করা প্রত্যেক মুসলমানদের উপরে ফরজ। এর মাধ্যমে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা অর্জন করা সম্ভব। কুরআন ও হাদিস থেকে জ্ঞানার্জন করে আমাদের ব্যক্তি, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে ইসলামের বিধানকে অনুসরণ করতে হবে। সমাজ পরিবর্তনের জন্য দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। নিজেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। রাসূল সা. আমাদের জ্ঞান ও হিকমত শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য জ্ঞানগত যোগ্যতা অর্জনের বিকল্প নেই। এই জন্য কুরআন ও হাদিস নিয়মিত অধ্যয়ন করতে হবে ও বুঝে বুঝে পড়তে হবে।
গতকাল শুক্রবার মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত জেলা আমির এমবি বাকের এর সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি সাঈদ আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোবারক হোসাইন এসব কথা বলেন। সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সদস্য আবদুল মতিন, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা লিয়াকত আলী, সহকারী সেক্রেটারি মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা