১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শনীতে ৯৫ দেশ

মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৫টি দেশের নানা পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে, এতে বাংলাদেশের রিকশাও স্থান পেয়েছে (উপরে ডান পাশে) -

প্রায় ৭ হাজার বর্গ মিটারজুড়ে এক ছাদের নিচে ৯৫টি দেশের প্রতিনিধিরা জড়ো হয়েছেন। প্রতিটি দেশ নিজ নিজ দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি উপস্থাপন করছে। দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে দেখছেন এসব। খুব সংক্ষিপ্ত সময়েই পরিচিত হতে পারছেন প্রায় একশ’র কাছাকাছি দেশের খাদ্য, পোশাক, দর্শনীয় স্থান, স্থানীয় আচার, রীতিনীতি এবং দৈনন্দিন ব্যবহার্য সামগ্রীর সাথে। যেন এক ছাদের নিচেই চলে এসেছে দুনিয়া।
এই অভিনব আয়োজনটি করেছে সৌদি আরবের ঐতিহ্যবাহী ‘মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
‘এখানেই দুনিয়া’ স্লোগান নিয়ে ১২তম আয়োজন সম্প্রতি উদ্বোধন করেন মদিনা অঞ্চলের গভর্নর সালমান বিন সুলতান বিন আব্দুল আজিজ।
উদ্বোধনের পর থেকেই মদিনা শহরের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠে অনুষ্ঠানস্থলটি। লোকসমাগমে উৎসবমুখর পরিবেশ হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ।
প্রদর্শনীর প্রবেশমুখে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। যেখানে বিভিন্ন দেশের কবিতা, সঙ্গীত ও নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয়। আরেক পাশে বাচ্চাদের খেলার জায়গা।

স্টলগুলোতে দেখা যায়, আরবের মরু সংস্কৃতি থেকে শুরু করে, মধ্য আমেরিকার ক্যারিবীয় সাগরের উপকূলে অবস্থিত রাষ্ট্র বেলিজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। আবার দেখা যাবে এশিয়ার চীন, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ হয়ে আফ্রিকার চাঁদ, মালি মাদাগাস্কারসহ অসংখ্য জানা, অজানা দেশের পরিচয়, ইতিহাস ঐতিহ্যের।
এসব স্টলে আবার আগতদের জন্য রয়েছে স্থানীয় চা, কফি ও নাস্তার আয়োজন। সুযোগ রয়েছে সে দেশের স্থানীয় পোশাক পরার। কোনো কিছু জানার জন্য রয়েছে সে দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা।
বরাবরের মতো আয়োজনে এবারো স্টল দিয়েছে বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। নাটোরের উত্তরা গণভবনের আদলে নির্মিত বাংলাদেশী স্টলের গেইট। প্রবেশ করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশী পোশাক, মাছ ধরার চাঁই, ডুলুনি, হাত পাখা, কুঁড়েঘর, মেয়েদের চুড়ি, বাংলাদেশী টাকার নোট, দর্শনীয় স্থানের ছবি। স্টলের পাশে রয়েছে একটি রিকশা। যা আগত দর্শনার্থীদের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে।
বাংলাদেশী স্টলের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী শিক্ষার্থী শোয়াইবুর রহমান বলেন, বিদেশের বুকে বাঙালি সংস্কৃতির ইতিহাস, ঐতিহ্য, শিক্ষা, শিল্প-সংস্কৃতির উপস্থাপনের লক্ষ্যে আমাদের আয়োজন। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলাদেশী ছাত্রদের প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী প্রতিনিধি সাজিদুর রহমানসহ আরো অন্যরা।
শিক্ষার্থীদের মাঝে পারস্পরিক যোগাযোগ, সম্প্রীতি প্রচারের লক্ষ্যে এই উৎসব আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের দলগত কাজকে উৎসাহিত করা, ইসলামিক মূল্যবোধকে প্রচার করা, বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর মাঝে সহাবস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই আয়োজন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ডক্টর হাসান বিন আব্দুল মুনিম আলআউফি বলেন, উৎসবটি ৯৫টি দেশের শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে, তাদের সংস্কৃতি, রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য প্রদর্শনের প্ল্যাটফর্মে পরিণত করা হয়েছে। উৎসবটি একটি সহযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করে যেখানে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য এই প্রাঙ্গণে একত্রিত হয়।’


আরো সংবাদ



premium cement