১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হুমকির মুখে থেমে আছে ক্যাম্পাসভিত্তিক মাদকবিরোধী সংগঠনের কার্যক্রম

-

হুমকির মুখে থেমে আছে দেশের একমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাদকবিরোধী সচেতনতার প্রচারণা চালানোর সংগঠন প্রতিভা সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহলের কার্যক্রম।
সরকারিভাবে অনুমোদিত সংগঠনটি একযুগের বেশি সময় দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতামূলক কাজ করছে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে মাদককারবারি চক্রের হামলা এবং হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে সংগঠনটি। অব্যাহত হুমকির মুখে এই সংগঠনটির চেয়ারম্যান ডা: আনোয়ার হোসেন এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। কয়েক বছর আগে তিনি মাদককারবারিদের হাতে অপহরণের শিকার হওয়ার পর মুক্তিপণের বিনিময়ে ছাড়া পান। মাদককারবারি চক্রের প্রতিনিয়ত হুমকির মুখে নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আবেদন করেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে কাগজ-কলমে নিরাপত্তা দেয়ার কথা বলা হলেও বাস্তবে কিছুই পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
মাদককারবারিদের কাছ থেকে প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে মিরপুরের কাফরুল থানায় বিভিন্ন সময়ে ছয়টি জিডি করেছেন ডা: আনোয়ার হোসেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যদি তিনি হামলার শিকার হন, তাহলে তাকে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দেয়া হবে। তার করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দফতরের তদন্তেও এর সত্যতা উঠে এসেছে এবং নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট থানাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম-২) মো: শফিকুর রহমান প্রতিভা সোসাইটি অ্যান্ড ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহলের চেয়ারম্যান ডা: আনোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে মিরপুর বিভাগের উপকমিশনারের কাছে চিঠি দেন। পরবর্তী সময়ে মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার এম এম মঈনুল ইসলাম বিষয়টি তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে ডিএমপি সদর দফতরে সুপারিশ পাঠান।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ডা: আনোয়ার হোসেন বলেন, আমার এই প্রচারণায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তারাই আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। ইতোমধ্যে করোনাকালীন ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের প্রচারণা ও সেমিনারের আয়োজন বন্ধ থাকায় আমি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। ওই সময় প্রায় এক কোটি স্টিকার ও ৭০ লাখ লিফলেটের আঠা শুকিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। আমার কাজে ঝুঁকির মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি। আমি বিভিন্ন সময় মাদক চোরাকারবারিদের টার্গেটে পরিণত হয়েছি। আমাকে বিভিন্ন সময় ফোনে এবং ইমেইলে হুমকিও দেয়া হয়েছে। প্রাণনাশের শঙ্কার পাশাপাশি আর্থিক কারণেও সংগঠনের কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়গুলো কাগজ-কলমেই রয়ে গেল।
ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি অ্যালকোহলের চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার বিষয়ে কাফরুল থানার ওসি ফারুকুল আলম বলেন, তাকে হুমকি দেয়ার বিষয়ে ইতঃপূর্বে থানায় জিডি হয়েছে। তবে তাকে নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়টি এই মুহূর্তে আমার নলেজে নেই। খোঁজ নিয়ে পরে জানাতে পারব।


আরো সংবাদ



premium cement