রাবিতে ছাত্রদল নেতাকে হলরুমে আটকে নির্যাতন ছাত্রলীগ নেতার
- রাবি প্রতিনিধি
- ০৮ মে ২০২৪, ০০:৪১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের এক নেতাকে ক্যাম্পাস থেকে ধরে নিয়ে হলকক্ষে তিনঘণ্টা আটকে রেখে মারধর, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এ সময় পিস্তল ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রদল নেতা।
সোমবার (৬ মে) রাত ১০টা থেকে রাত দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে প্রক্টরিয়াল বডির কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ভিকটিম ওই ছাত্রদল নতার নাম নাফিউল ইসলাম জীবন। তিনি রাবি শাখা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক এবং আরবি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।
এ দিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন- রাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব। তার অনুসারীরা হলেন সহসভাপতি মনু মোহন বাপ্পা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক স্বদেশ শেখ, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান সোহাগ ও মাদার বখ্শ হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মিশকাত হাসান।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, আগামী বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের কর্মিসভা থাকায় সোমবার রাত ৯টার দিকে এক বন্ধুর সাথে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানাতে আসেন। একপর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা তাকে অনুসরণ করলে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেন। ফলে তিনি সাথে থাকা মোটরসাইকেল করে রোকেয়া হলের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় ছাত্রলীগ নেতারা তাদেরকে পথরোধ এবং আটক করেন। এরপর তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখ্শ হলের ২১৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যান।
তার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। জিজ্ঞাসাবাদে বিভিন্ন পর্যায়ে ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় তাকে মারধর করেন গালিব। একপর্যায়ে পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। পরে ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তাদের কাছে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করতে বলেন নাফিউলকে। এরপর রাত দেড়টার দিকে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে তুলে দেন ছাত্রলীগ নেতারা।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতারা বলছেন, এর আগেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে বিভিন্ন অ্যাকাডেমিক ভবনে তালা মেরেছে। গতকাল ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা ও শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে পারেন এমন সন্দেহ থেকে তাকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছিল। তাকে কোনো ধরনের নির্যাতন করা হয়নি। পরে তার কাছে কোনো তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ঘটনা জানতে পেরে আমি রাতেই মাদার বখ্শ হলে দু’জন সহকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি। তাদের প্রক্টরিয়াল অফিসে এনে মারধর করা হয়েছে কি না জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়। মারধর বা ভয়ভীতি প্রদর্শনের কোনো অভিযোগ করেননি ভুক্তভোগীরা। কিছুক্ষণ পর তাদেরকে আমরা ছেড়ে দেই।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা