দুর্নীতি-লুটপাটের কারণে বিদ্যুৎ খাতে নৈরাজ্য : গোলাম পরওয়ার
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৭ মে ২০২৪, ০০:৫৯
সারা দেশে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, দেশে অব্যাহত লোডশেডিং ও বিদ্যুৎ খাতে ভয়াবহ বিপর্যয়ের কারণে জনজীবন আজ বিপর্যস্ত। একদিকে প্রচণ্ড গরমে মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে, অপরদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং মানুষের জীবনকে অসহনীয় করে তুলেছে। তীব্র গরমে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। বর্তমানে গ্রামে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকে না। কিছু সময়ের জন্য আসে আবার চলে যায়। বিদ্যুতের অভাবে সেচের পাম্পগুলো অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে পানিসেচ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। কৃষক ফসল ফলাতে পারছেন না। রাজধানী ঢাকার অধিকাংশ এলাকায় পানি সঙ্কট দেখা দিয়েছে। দীর্ঘলাইন ধরেও পাম্পগুলো থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। বিদ্যুৎ না থাকায় পাম্পগুলো পানি সরবরাহ করতে পারছে না।
তিনি আরো বলেন, বিগত ১৫ বছরে বিদ্যুৎ খাতে সরকারের ভয়াবহ দুর্নীতি, লুটপাট ও অনিয়মের কারণে বিদ্যুৎ খাতে এই নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। সরকারদলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত কুইক রেন্টালের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করে সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০২২-২৩ অর্থবছরে বিদ্যুতের ভাড়া বাবদ ২৬ হাজার কোটি টাকা দেয়া হয়েছে।’ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেও বসে বসে ভাড়া নেয়ার যে চুক্তি সরকার করেছে, তা অর্থের অপচয় এবং জনস্বার্থ বিরোধী। জনস্বার্থবিরোধী এই চুক্তি বাতিল করতে হবে। শুরু থেকেই বিশেষজ্ঞরা কুইক রেন্টালের বিরোধিতা করলেও সরকার সেদিকে কোনো কর্ণপাত করেনি।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে সরকার সে তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারছে না। উৎপাদন সক্ষমতা না বাড়াতে পারলেও সরকার দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। বর্তমান সরকারের আমলে বিগত ১৫ বছরে পাইকারি পর্যায়ে ১১ বার এবং খুচরা পর্যায়ে ১৩ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সরকার জনগণের ওপর বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিয়ে অর্থনৈতিক ঘাটতি পূরণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে শিল্প ও কৃষিসহ দেশের গোটা অর্থনীতির ওপর চরম বিরূপ প্রভাব পড়বে। গণবিরোধী সরকার দেশের জনগণকে মেরে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।
কুইক রেন্টালের সাথে জনস্বার্থ বিরোধী চুক্তি বাতিল এবং বিদ্যুৎ খাতের দুর্নীতি ও সব রকম অব্যবস্থাপনা দূর করে অবিলম্বে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের এ শীর্ষ নেতা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ নেতাকর্মী আটক : ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির আবুল বাশার ভূঁইয়া, ১০ নম্বর ওয়ার্ডের আমির আবুল কাশেমসহ ছয়জনকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শহরের শিমাইলকান্দি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। স্থানীয় জামায়াত নেতারা জানিয়েছেন, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি গণসংযোগপক্ষ উপলক্ষে শহরের শিমাইলকান্দি এলাকায় গণসংযোগ করছিলেন তারা। এ সময় পুলিশ এসে কোনোপ্রকার অভিযোগ ছাড়াই বিনা কারণে তাদের আটক করে নিয়ে যায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা