গণতন্ত্র রক্ষায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে : বিএনপি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০৬ মে ২০২৪, ০০:০৫, আপডেট: ০৫ মে ২০২৪, ২৩:৫৮
বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় নতুন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের আদর্শে সৃষ্টি হয়েছিল। আর গণতন্ত্র রক্ষার মূল কবজ হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম। আজকে সেই গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে নতুন করে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে আমাদের শপথ।
গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে আয়োজিত বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও কথা বলার অধিকার নিয়ে মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার সব মানুষের সংগ্রাম করতে হচ্ছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চিত করার সব দায়দায়িত্ব সরকারের। কারণ সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সাধারণ মানুষ বাধা দেয় না, মানুষের কথা বলায় আরেকজন বাধা দেয় না, বাধা দেয় সরকার।
তিনি বলেন, গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। কিন্তু বিশ্বে এমনো আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নয়, প্রথম স্তম্ভ। মিডিয়া একটি রাষ্ট্রের শক্তির চেয়েও বেশি শক্তিশালী। কারণ সরকার যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন মিডিয়া অন্যায়কে প্রকাশ করে দিয়ে একটি রাষ্ট্রকে ভাঙতে পারে, নতুনভাবে গড়তেও পারে। এই সত্য আজকের সরকার যতই উপলব্ধি করবে, ততই তাদের জন্য ভালো হবে।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের অবকাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনিই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকে আওয়ামী লীগ তাকে সৈনিক বলে সম্বোধন করে। একজন সৈনিক যদি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে আওয়ামী লীগ কেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধা দেয়?
মঈন খান বলেন, বর্তমান সরকার নিজেদের স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি বলে দাবি করে, সেই স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল গণতন্ত্র। দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে, একদলীয় শাসন কায়েম হয়ে থাকে, মুক্ত চিন্তা বিকাশের সুযোগ না থাকে, ১৮ কোটি মানুষকে যদি আওয়ামী লীগের চিন্তাভাবনা অনুযায়ী একই লাইনে চলতে বাধ্য করা হয়, সেখানে গণমাধ্যমে স্বাধীনতা থাকে না।
সভাপতির বক্তব্যে বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, গত ১৫ বছরে ৬০ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে, সাগর-রুনি হত্যার আজো বিচার হয়নি। পাঁচ শতাধিক পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এমপি-মন্ত্রী বা সরকার দলীয় লোকজনের দুর্নীতির রিপোর্ট প্রকাশ করলেই সাংবাদিকদের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। অনেকে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করতে হলে আজকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সর্বপ্রথম নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব কাদের গণি চৌধুরী, ডিইউজের সভাপতি শহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলমসহ সংগঠন দু’টির নেতৃবৃন্দ।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা