গৌরনদীতে আ’লীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যানসহ রক্তাক্ত ৫ জন
- বরিশাল ব্যুরো
- ০৪ মে ২০২৪, ০২:০৭
বরিশালের গৌরনদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজন রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মনির হোসেন মিয়া জানান, মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলুসহ ১০-১৫ জন সমর্থককে নিয়ে মোটরসাইকেলে বাটাজোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কর্মী আলতাফ হোসেনের নামাজে জানাজায় যোগ দিতে রওনা হন। তারা বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলে কয়েকজন সমর্থকের সাথে দাঁড়িয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: হারিছুর রহমানের সমর্থক উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো: দেলোয়ার হোসেন হাওলাদার সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় মনিরের এক সমর্থক মনিরের সাথে দেলোয়ারের ছবি তোলেন। এ সময় যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী ইমতিয়াজ মাহমুদ (৩২) ক্যামেরাম্যানকে থাপ্পড় মারেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহারি ঘটনা ঘটে। মো: মনির মিয়া অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা দেলোয়ারের সমর্থকরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ, সমর্থক পলাশ হোসেন (২৭) ও মামুন খানকে (৩২) কুপিয়ে রক্তাক্তভাবে জখম করে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঘটনাস্থলে উপস্থিত যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেনের সমর্থক ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কালু তালুকদার পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিতভাবে মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ দেলোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করে পিস্তল দিয়ে গুলি করে এতে দেলোয়ার হোসেন ও তার ছেলে ইমতিয়াজ মাহমুদ আহত হন।
শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো: শাহাদাত হোসেন জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহর অবস্থা সঙ্কটাপন্ন। তার মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত বেশি গভীরতর। তবে দেলোয়ার হোসেনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।
গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো: মাজাহারুল ইসলাম বলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: মনির হোসেন মিয়া ও মাহিলাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলুর সমর্থকদের নিয়ে একটি নামাজে জানাজায় যাওয়ার পথে বাটাজোর বাসস্ট্যান্ডে ছবি তোলা নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এ সময় ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহসহ তিনজন আহত হন। তাদের মধ্যে সৈকত গুহ ও দেলোয়ার হোসেনকে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে এখানে গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি কিংবা স্থানীয়রা গুলির কোনো শব্দ পাননি।