এবার ভিসির কাছে সেকান্দারের বিচার চাইলেন আ’লীগ সমর্থক শিক্ষকরা
- জবি প্রতিনিধি
- ০৪ মে ২০২৪, ০২:০৫
ফেসবুকে মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে এবার বিচার চেয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
গতকাল শুক্রবার ভিসি বরাবর নীল দলের সভাপতি ড. মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক ড. সিদ্দিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক আবেদনে শিক্ষক সেকান্দারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এতে নীল দল উল্লেখ করে, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. আবুল হোসেন একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদ ও গবেষক। তিনি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও নীল দলের সভাপতি ছিলেন। তাকে নিয়ে শিক্ষক আবু সালেহ সেকান্দার ফেসবুকে একের পর এক মিথ্যা পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। ড. আবুল হোসেন নাকি তথ্য গোপন করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেনের পিএইচডি থিসিস মূল্যায়ন কমিটির সদস্য হয়েছেন। বিষয়টি একেবারেই মিথ্যা। গবেষণা সেমিনারটি ছিল উন্মুক্ত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারেন।
অভিযোগে নীল দল আরো জানায়, সালেহ সেকান্দার প্রতিনিয়তই অধ্যাপক আবুল হোসেনের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও কুৎসা রটাচ্ছেন, যা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকরিরত কেউ করতে পারেন না। এ ছাড়া তিনি একাধিক সিনিয়র শিক্ষককে নিয়ে মিথ্যা ও অশালীন পোস্ট দিচ্ছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে এর একটি সুরাহা হওয়া আশু প্রয়োজন।
এতে আরো উল্লেখ করা হয়, মাস্টার্স পরীক্ষার থিসিস মূল্যায়নে জালিয়াতি, কোর্স শিক্ষক হিসেবে নারী শিক্ষার্থীদের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের অপচেষ্টা ইত্যাদির অভিযোগে ২০১৫ সালে একাডেমিক কমিটি তাকে থিসিস গাইড, ক্লাস-পরীক্ষা এবং যাবতীয় কর্মকাণ্ড হতে অব্যাহতি দিয়ে অ্যাকাডেমিক কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার প্রার্থনা করে। অ্যাকাডেমিক কমিটি মনে করে সেকান্দারের এরূপ আচরণ অশিক্ষকসুলভ, অনৈতিক ও অপরাধমূলক। অ্যাকাডেমিক কমিটির সবাই তার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিদানের প্রয়োজনীয়-ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করছে।
এর আগে ফেসবুকে অশালীন পোস্ট দিয়ে সম্মানহানি করার জন্য গত ৩০ এপ্রিল আবু সালেহ সেকান্দারের বিরুদ্ধে ভিসিকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চান ডিন ড. আবুল হোসেন। এরপর গত ২ মে সেকান্দারের বিচারের জন্য লিখিতভাবে জানান ইসলামের ইতিহাস বিভাগের সকল শিক্ষক।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের নিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রীর সাথে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অপ্রীতিকর অবস্থায় প্রক্টরিয়াল বডির কাছে আটকের পর বিয়ে, ক্লাসে প্রধানমন্ত্রীকে ‘ভোট চোর’সহ কটূক্তি, ফেসবুকে ভিসি, ডিন, প্রক্টরসহ সিনিয়র শিক্ষকদের গালিগালাজের অভিযোগে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এসব অভিযোগে শিক্ষক সেকান্দারের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সর্বশেষ সিন্ডিকেটে তদন্ত কমিটিকে অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য বলা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা