১৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১ পৌষ ১৪৩০, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কক্সবাজারে লবণ উৎপাদন ৬৩ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে

উৎপাদিত লবণ সংরক্ষণ করা হচ্ছে : নয়া দিগন্ত -

প্রচণ্ড খরা ও তাপদাহ উপেক্ষা করে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় লবণচাষিরা বাম্পার উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠে রয়েছেন। এবারে জেলায় উপকূলীয় লবণ উৎপাদনে ৬৩ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। প্রাকৃতিক কারণে লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হয়েছে। মাঠপর্যায়ে উৎপাদনকীরা ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
১৯৬০ সাল থেকে কক্সবাজার সদর, টেকনাফ, মহেশখালী , কুতুবদিয়া, ঈদগাঁও, চকরিয়া ও বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় এলাকার প্রায় ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ উৎপাদন করে আসছেন এলাকার চাষিরা। কক্সবাজার জেলা বিসিকের তথ্য মতে, প্রতি বছর লবণ মাঠে উৎপাদন কাজে নিবন্ধিত চাষি ও দেড় লাখ শ্রমজীবীসহ প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ বিভিন্ন ভাবে এ শিল্পের সাথে রয়েছেন। চলতি বছর মৌসুমের শুরু থেকে এলাকার চাষিরা লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমে পড়েন। এবারে প্রাকৃতিক পরিবেশ লবণ উৎপাদনে অনুকূলে থাকায় মৌসুমের শেষ সময় পুরো এপ্রিল মাস ধরে চাষিরা লবণ উৎপাদনে মাঠে ছিলেন। এদিকে গত মৌসুমে ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন লবণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। তখন লবণ উৎপাদন হয়ছিল ১৯ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন।
ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) সূত্রে জানা যায়, চলতি লবণ উৎপাদন মৌসুমের শেষ সময়েও লবণ উৎপাদন অব্যাহত থাকায় উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে বিগত ৬৩ বছরের রের্কড ছাড়িয়ে গেছে। বিসিকের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার অতিরিক্ত লবণ উৎপাদন হয়েছে। এ পর্যন্ত ২২ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে গড়ে ১৯ লাখ ১৭ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হলেও এ বছর তা আরো বৃদ্ধি পাবে বল তারা জানান।
চকরিয়ার উপকূলীয় বদরখালী এলাকার লবণচাষি নুরনবী নয়া দিগন্তকে জানান, এবার কক্সবাজার জেলায় লবণ উৎপাদন অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকলে চলতি বছর ২৪-২৫ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হবে, যা বিগত কোনো মৌসুমে সম্ভব হয়নি। ইতোমধ্যে জেলায় প্রায় ২২ লাখ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। মাঠপর্যায়ে সিন্ডিকেটের কারণে উৎপাদনকারীরা যেন ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন এবং মাঠপর্যায়ে উচিত মূল্য নিশ্চিত করার দাবি জানান।

 


আরো সংবাদ



premium cement