ইকামাতে দ্বীনের দাওয়াত প্রকাশ্যে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে : ডা: শফিক
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০৫
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা: শফিকুর রহমান বলেছেন, শপথের জনশক্তি হিসেবে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আমাদের মূল লক্ষ্য হতে হবে। এই লক্ষ্যে আমাদের সব কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। আমরা ইকামাতে দ্বীনের কাজ করি। আর এই কাজ কখনো গোপনে নয়, প্রকাশ্যে সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে।
গতকাল বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলা জামায়াতের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা আমির অধ্যক্ষ মাও: আব্দুল হক সরকারের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মো: মনজুরুল ইসলাম রাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ালি রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও বগুড়া অঞ্চলের পরিচালক মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের একমাত্র আল্লাহকেই ভয় করতে হবে। আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করা তো জায়েযই নেই। সংগঠন সম্প্রসারণ ও মজবুত করতে হবে। নিঃশর্তভাবে নেতৃত্ব মেনে চলতে হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে আনুগত্য করতে হবে। আল্লাহর পথে অর্থ ব্যয় করতে হবে। সন্দেহ-সংশয় দূর করতে হবে। ব্যাপকভিত্তিক দাওয়াতি কাজ করতে হবে। আগামী এক বছরের মধ্যে বগুড়া পশ্চিম সাংগঠনিক জেলাকে দাওয়াতি তৎপরতার মাধ্যমে শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড় করানো হবে ইনশাআল্লাহ।
আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চল টীম সদস্য ও সাবেক পাবনা জেলা আমির মাও: আব্দুর রহিম, বগুড়া অঞ্চল টীম সদস্য অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, মাওলানা মমতাজ উদ্দিন প্রমুখ।
ফ্যাসিবাদের শোষণ থেকে জনগণকে মুক্ত করতে হবে : গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশের মানুষ হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে চায়। তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। লুটেরাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে চায়। অর্থ পাচারকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে চায়। ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। ডামি নির্বাচনে দেশের মানুষ যায়নি। ভোট বর্জনের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষ সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে। সরকার জনসমর্থনহীন হয়ে পড়েছে। জনগণকে সরকারের অপকর্মের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জুলুম-নির্যাতন ও শোষণের অবসান ঘটিয়ে একটি ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। নরসিংদী জেলা জামায়াতের উদ্যোগে স্থানীয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
জেলা আমির মাওলানা মোছলেহুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষাশিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। বক্তব্য রাখেন- জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমজাদ হোসাইন ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, ‘দুনিয়ার জীবন জিন্দেগিকে কেন্দ্র করে মুমিন তার জীবন পরিচালনা করে না। তার জীবনের লক্ষ্য হলো আখিরাতের সফলতা। জান্নাত লাভের উচ্চাকাক্সক্ষা তাদেরকে দুনিয়ার ভোগ বিলাস, আরাম-আয়েশকে তুচ্ছ জ্ঞান করে। দ্বীন কায়েমের জন্য আমরা শপথ নিয়েছি। শপথের কর্মীরা সে শপথ ভুলে যেতে পারে না। শপথ ঈমানের পথে জীবনকে উজ্জীবিত করে। জীবনের বাঁকে বাঁকে জমে থাকা জঞ্জাল ঠেলে সামনে এগিয়ে যেতে সাহস জোগায়। চলার পথকে করে বলিষ্ঠ। বিপদ আপদ তাকে থামিয়ে দিতে পারে না।
নেতাকর্মী গ্রেফতারের প্রতিবাদ: নীলফামারী জেলা জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফ, সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলহাজ মাজহারুল ইসলাম ও উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য খয়রাত হোসেন বসুনিয়াকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১৯ এপ্রিল সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ মাওলানা আব্দুল মুনতাকিমের বাসায় সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করলে সেখান থেকে পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারকৃত নেতারা সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য সৈয়দপুর উপজেলা জামায়াতের আমির হাফেজ আব্দুল মুনতাকিমের বাসায় গিয়েছিলেন। পুলিশ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। রাজনৈতিক হয়রানি বন্ধ করে অবিলম্বে অ্যাডভোকেট আল ফারুক আব্দুল লতিফসহ গ্রেফতারকৃত সবাইকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে : প্রত্যেক মানুষের ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। কোনো এলাকার কেউই দাওয়াতের বাইরে থাকবে না। নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ।
নেত্রকোনা জেলা আমির অধ্যাপক মাওলানা ছাদেক আহমাদ হারিছের সভাপতিত্বে ও মাওলানা মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের পরিচালক ড. সামিউল হক ফারুকী।
স্থানীয় একটি হলরুমে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এ সম্মেলনে মতিউর রহমান আকন্দ আরো বলেন, জামায়াতের মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে দাওয়াতি কাজের কোনো বিকল্প নেই। জামায়াত এ দেশের মানুষের সেন্টিমেন্ট বুঝে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন শুধু নয়, এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে এমন কোনো রাজনৈতিক দল এ অবৈধ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. সামিউল হক ফারুকী বলেন, ১৫ দিনব্যাপী গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষ্যে নেত্রকোনার সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে। প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, শ্রমজীবী, পেশাজীবীসহ সব শ্রেণীর মানুষকে দাওয়াতের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ দেশের মানুষ জামায়াতের দিকে তাকিয়ে আছে। জামায়াতে ইসলামী এ দেশের মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে ইনশাআল্লাহ।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ মহানগরী জামায়াতের আমির কামরুল আহসান এমরুল, ময়মনসিংহ জেলা জামায়াতের আমির মো: আব্দুল করিম, নেত্রকোনা জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো: দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাসুম মোস্তফাসহ জেলা ও উপজেলার নেতারা। এতে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রায় দুই শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।