সিজারে রাজি না হওয়ায় মিটফোর্ড হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হলো প্রসূতিকে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৫
সিজার করাতে রাজি না হওয়ায় হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়া হলো এক প্রসূতিকে। একই সাথে তৃতীয় সন্তান ধারণের জন্য তাকে গালাগালি করেছেন ডাক্তার। ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
গত ১৩ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন খাদিজা ইসলাম (৩০)। খাদিজার বাসা রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায়। ভর্তির পর ডাক্তারের পরামর্শে তার আলট্রাসনোগ্রামসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এরপর দায়িত্বরত নারী চিকিৎসক তাকে দেখতে যান এবং তাকে সিজারের পরামর্শ দেন। এতে ওই নারী রাজি না হলে চিকিৎসক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং তাকে গালমন্দ করেন।
খাদিজা অভিযোগ করেন, তার কাছে প্রথমে তার আর্থিক অবস্থা জানতে চান ওই চিকিৎসক। এরপর তাকে সিজারের পরামর্শ দেন। কিন্তু তিনি সিজার করাতে রাজি না হওয়ায় তাকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেন চিকিৎসক। খাদিজার আগেও দু’টি সন্তান রয়েছে। সেই সন্তান স্বাভাবিকভাবেই জন্ম নিয়েছে। খাদিজা অভিযোগ করেন, তৃতীয় সন্তান ধারণের জন্য তাকে ‘সমাজের কীট’ বলেও গালি দেন। একই সাথে, তাকে সিজারের পর আর কখনো যাতে সন্তান নিতে না পারেন সেজন্য লাইগেশনের মাধ্যমে চিরতরে বন্ধ্যা করে দেয়ার কথাও জানান ওই নারী চিকিৎসক। এতে ভুক্তভোগী নারী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত সিজারে রাজি না হওয়ায় তার কাছ থেকে কাগজপত্র রেখে দিয়ে তাকে হাসপাতাল থেকে বের করে দেন ডাক্তার। আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি হাসপাতাল থেকে চলে আসেন। এ সময় প্রসব বেদনা কিছু টা কমে যাওয়ায় বাড়ি চলে যান তিনি। এরপর ১৫ এপ্রিল সকালে তিনি মুগদার নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি হন। সেখানে সন্ধ্যার দিকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একটি ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্র ত্যাগ করে বাসায় যান। খাদিজা জানান, এখন তিনি এবং তার সন্তান দু’জনই সুস্থ আছেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা