বাইডেনের হুমকির পর গাজায় ত্রাণ প্রবেশের ঘোষণা ইসরাইলের
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ০৬ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
- যুক্তরাষ্ট্রের ইসরাইলি নীতিতে পরিবর্তনের হুমকি
- আরো পথ খুলছে ইসরাইল
- নেতানিয়াহুকে তিরস্কার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হুঁশিয়ারি দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের নতুন রুট ঘোষণা করেছে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। এক বিবৃতিতে মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, এখন থেকে ইসরাইলের আশদোদ বন্দরে ত্রাণপণ্য খালাস করা হবে এবং ইরেজ সীমান্ত দিয়ে গাজায় পাঠানো হবে ত্রাণ। এএফপি ও আলজাজিরা।
সম্প্রতি গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর বোমায় আন্তর্জাতিক খাদ্যসহায়তা সংস্থা ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের সাতজন স্বেচ্ছাসেবী নিহত হয়েছেন। এই স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ছিলেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কাছে জবাবদিহিতা চাইলে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এটি ইচ্ছাকৃত হামলা ছিল না, তবে যুদ্ধে এমন হয়েই থাকে।’
নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য ক্ষোভকে আরো উসকে দেয়। বৃহস্পতিবার নেতানিয়াহুর সাথে টেলিফোনে ৩০ মিনিট কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। সেই ফোনালাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যদি গাজায় বেসামরিক ফিলিস্তিনি হত্যা বন্ধ এবং ত্রাণসামগ্রী প্রবেশে বাধা তুলে নিতে শিগগির কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেয় ইসরাইলের সরকার, তাহলে ইসরাইল ইস্যুতে মার্কিন নীতি পরিবর্তন করা হবে।
সেই ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মাঝরাতে এক বিবৃতি জারি করে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের নতুন এই রুটের ঘোষণা দেয় ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। তবে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই রুট ‘অস্থায়ী’। ইসরাইলের সরকার এই বিবৃতি জারির অল্প সময়ের মধ্যে পাল্টা এক বিবৃতিতে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘এ সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ইসরাইলকে ধন্যবাদ। যুক্তরাষ্ট্র আশা করছে, শিগগিরই এটি বাস্তবায়ন হবে।’
ইসরাইলকে বরাবরই সমর্থন দেন বাইডেন। তবে এই প্রথমবারের মতো সহায়তা ও অস্ত্র বন্ধ করে দেয়ার ব্যাপারে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন তিনি। এতে ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধে পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। হোয়াইট হাউজ বলেছে, বাইডেন ও নেতানিয়াহুর মধ্যে টেলিফোনে ৩০ মিনিট ধরে আলোচনা হয়েছে। বাইডেন নেতানিয়াহুকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষিত রাখতে, মানুষের কষ্ট কমাতে ও ত্রাণকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ইসরাইলকে বিশেষ, সুনির্দিষ্ট ও পরিমিত পদক্ষেপ ঘোষণা করতে হবে। এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে হবে।
হোয়াইট হাউজ বিবৃতিতে আরো বলেছে, ইসরাইল এসব ক্ষেত্রে কতটা পদক্ষেপ নিয়েছে তার ওপর মার্কিননীতি নির্ভর করছে। ইসরাইলের সবচেয়ে বড় অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ হলো ওয়াশিংটন। জাতিসঙ্ঘে বেশির ভাগ সময় ইসরাইলের কূটনৈতিক ঢাল হিসেবে ভূমিকা রাখে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইসরাইল ও গাজায় যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনবে কি না, সে ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানাননি হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। তিনি বলেন, শিগগিরই ইসরাইল তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ঘোষণা দেবে বলে ওয়াশিংটন আশা করছে। হোয়াইট হাউজ আরো বলেছে, নেতানিয়াহুর সাথে ফোনালাপে বাইডেন গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন।
গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বলেন, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের রক্ষা করুন, না হলে মার্কিন নীতি পরিবর্তন হবে।
গাজা যুদ্ধে চলমান মার্কিন সমর্থন ও সহায়তা বৃদ্ধি পাবে কিনা তা বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু রোধে ‘নির্দিষ্ট, দৃঢ় পদক্ষেপের’ ওপর নির্ভর করছে বলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে জানিয়ে দিয়েছে। গাজায় সহায়তাকর্মীদের ওপর মারাত্মক ইসরাইলি হামলার পরে ইসরাইলে মার্কিন সহায়তা প্রদানে শর্ত যোগ করার জন্য ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা বাইডেনকে নতুন এই আহ্বান জানাতে উৎসাহিত করেন।
হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ‘স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, গাজার ব্যাপারে মার্কিননীতি ঠিক কী হবে তা নির্ধারণ করা হবে ইসরাইলের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের বিষয়ে আমাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে।’
বৃহস্পতিবারের এই ফোনকলের পরে এক ব্রিফিংয়ে কথা বলেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবি। অবশ্য সেখানে ইসরাইল এবং গাজার প্রতি মার্কিন নীতিতে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট পরিবর্তন আসবে সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে অস্বীকার করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ‘সামনের কয়েক ঘণ্টা ও দিনগুলোতে’ ইসরাইলি পদক্ষেপের ঘোষণা দেখতে পাবে বলে আশা করছে।
গাজার বেসামরিক মানুষকে রক্ষার বিষয়ে হোয়াইট হাউজের কথারই পুনরাবৃত্তি করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরাইলের কাছ থেকে কোনো পরিবর্তন না দেখে, তবে মার্কিন নীতিতে পরিবর্তন হবে। অন্যদিকে মার্কিননীতিতে সম্ভাব্য পরিবর্তন সম্পর্কে জানতে চাইলে নেতানিয়াহুর মুখপাত্র তাল হেনরিচ ফক্স নিউজকে বলেছেন, ‘আমি মনে করি এটি এমন কিছু যা ওয়াশিংটনকে ব্যাখ্যা করতে হবে।’
প্রতিদিন ৩৫০ ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৩৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা। গতকাল শুক্রবার এই সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের বিষয়টি জানিয়েছে। ইসরাইলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা জানিয়েছে, কারেম আবু সালেম (কারেম শালোম) ক্রসিং দিয়ে দক্ষিণ ইসরাইলের মধ্য দিয়ে গাজায় ২৫০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করবে। আর ১০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক মিসরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে প্রবেশ করবে। আল জাজিরা জানিয়েছে, এই সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করলে গাজায় ত্রাণসহায়তা বৃদ্ধি পাবে। এখন প্রতিদিন গাজায় মাত্র ২০০টি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করে। ইসরাইল ঘোষণা দিয়ে বলেছে, উত্তর গাজায় বেইট হানুন (ইরেজ) ক্রসিং খুলবে। এছাড়া আশদোদ বন্দরের মাধ্যমে সাময়িক সহায়তা সরবরাহের অনুমতি দেবে।
আরো পথ খুলছে ইসরাইল
ইসরাইল বলেছে, তারা গাজায় ত্রাণ প্রবেশের জন্য দু’টি পথ খোলার অনুমোদন দিয়েছে, যাতে সেখানে আরো সাহায্য পাঠানো যায়। খবর বিবিসির। উত্তর গাজার ইরেজ গেট যুদ্ধ শুরুর পর প্রথমবারের মতো অস্থায়ীভাবে খোলা হবে এবং আশদোদ বন্দরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের জন্য খুলে দেয়া হবে। জর্দান থেকে আসা আরো ত্রাণ কেরেম শালোম ক্রসিং দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে।
নেতানিয়াহুকে তিরস্কার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের (ডব্লিউসিকে) ত্রাণকর্মীদের বিষয়ে ‘অসংবেদনশীল’ মন্তব্যের কারণে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে তিরস্কার করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং। গাজায় এই সংস্থার ত্রাণকর্মীদের ওপর ইসরাইলি সেনাবাহিনী হামলা চালায়। এতে একজন অস্ট্রেলিয়ান এবং বিভিন্ন দেশের আরো ছয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হন। এ নিয়ে বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের ওপর দেশের ভিতর থেকেই চাপ বাড়তে থাকে। তার পরিণতিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফোনে নেতানিয়াহুর ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন জো বাইডেন। অন্যদিকে নিহত অস্ট্রেলিয়ান ও অন্য ত্রাণকর্মীদের বিষয়ে নেতানিয়াহু যে ‘গভীর অসংবেদনশীল’ মন্তব্য করেছেন, তার কড়া নিন্দা জানান পেনি ওং। অনলাইন গার্ডিয়ান এ খবর দিয়েছে। পেনি ওং বলেন, নিহত অস্ট্রেলিয়ান জোমি ফ্রাঙ্ককম এবং তার সহকর্মীদের মৃত্যুকে একপাশে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন নেতানিয়াহু। এ বিষয়ে ইসরাইল যে ব্যাখ্যা দিয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ইসরাইলের দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
এ দিকে গাজার মধ্যাঞ্চলীয় দাইর আল বালাহ এলাকায় গত সোমবার রাতে ইসরাইলি বিমান হামলায় এনজিও ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন (ডব্লিউসিকে) এর সাত কর্মী নিহতের ঘটনায় মারাত্মক ভুল এবং সামরিক বিধি লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে দুই ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছে ইসরাইল। এদের একজন হচ্ছেন, কর্নেল পদমর্যাদার ব্রিগেড চিফ অব স্টাফ এবং মেজর পদমর্যাদার একজন ব্রিগেড ফায়ার সাপোর্ট কর্মকর্তা। এ ছাড়া, সাউদার্ন কমান্ডের প্রধান এক জেনারেল এবং আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে এ ঘটনার জন্য তিরস্কারও করেছে ইসরাইল।
হামলার ঘটনার তদন্তে দেখা গেছে, ইসরাইলি বাহিনী ত্রাণ গাড়িবহরকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের গাড়ি ভেবে ভুলবশত হামলা চালিয়েছে। ওই হামলার ঘটনায় ডব্লিউসিকে’র ত্রাণবহরের তিনটি গাড়িতে ড্রোন আঘাত হানে। এটি ইসরাইলি সেনাবাহিনীর আদর্শ যুদ্ধ পরিচালনা পদ্ধতির লঙ্ঘন।
গতকাল শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইসরাইলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘ত্রাণের গাড়িবহরে হামলা বড় ধরনের ভুল। মানুষ চিনতে ভুল করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে ভুল এবং মানসম্মত যুদ্ধ পরিচালনা পদ্ধতির বিপরীতে যাওয়া- এইসব ক্ষেত্রে মারাত্মক ব্যর্থতার কারণেই এমনটি ঘটেছে।’
(ডব্লিউসিকে) এর নিহত সাত কর্মীর মধ্যে পোল্যান্ডের একজন, ব্রিটেনের তিনজনসহ অস্ট্রেলিয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র-কানাডার এক দ্বৈত নাগরিকও ছিল। তাদের মৃত্যু নিয়ে এ সপ্তাহে বিশ্বে তোলপাড় হয়েছে। পোল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্য তাদের নাগরিক নিহতের ঘটনায় ইসরাইলের কাছ থেকে ব্যাখ্যাও দাবি করে। ডব্লিউসিকে বলছে, দাইর আল বালার একটি গুদাম থেকে চলে যাওয়ার সময় ত্রাণবাহী গাড়িবহরে হামলায় কর্মীরা নিহত হয়েছে। তারা সমুদ্রপথে গাজায় নেয়া ১০০ টনের বেশি খাবার ওই গুদামে রেখে আসতে গিয়েছিল। ত্রাণবাহী গাড়িবহরে ছিল তিনটি গাড়ি। এর মধ্যে দুটি ছিল অস্ত্রসজ্জিত। তিনটি গাড়িতেই হামলা হয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একটি ট্রাকের ওপর অস্ত্রহাতে এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছিল। এরপর আরও তিনটি গাড়ি গুদাম ছেড়ে যাওয়ার সময় ইসরাইলি সেনা কমান্ডাররা সেগুলোকে ডব্লিউসিকে’র বলে শনাক্ত করতে পারেনি। ইসরাইলের প্রতিরক্ষাবাহিনী আইডিএফ-এর সত্যানুসন্ধানী মিশনের তদন্তদলের প্রধান ইয়োয়াভ হার-ইভেন বলেছেন, সেনারা অন্ধকারের মধ্যে গাড়ির ওপর ডব্লিউসিকে লোগো দেখতে পায়নি। ফলে তারা গাড়িটি হামাস যোদ্ধাদের হাতে অবরুদ্ধ ভেবে ভুলবশত তাতে হামলা চালায়। এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘সে সময় সেনারা ভেবেছিল মানবিক ত্রাণকাজ শেষ হয়েছে। তারা হামাসের গাড়ি অনুসরণ করছে। সে সময় তারা ওই গাড়িতে হামলা করে। এরপর মানুষজনকে সেখান থেকে দৌড়ে দ্বিতীয় গাড়িতে যেতে দেখা গেলে সেনারা দ্বিতীয় গাড়িতেও হামলা করে এবং একইভাবে তৃতীয় গাড়িতেও হামলা চালায়।’ আইডিএফ-এর মানসম্মত যুদ্ধ পরিচালনা পদ্ধতি এ ঘটনায় লঙ্ঘিত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন হার-ইভেন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা