একের পর এক অপরাধেও পার পেয়ে যান টাঙ্গাইলের আ’লীগ নেতা বড় মনি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ০২ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১
ধর্ষণকান্ডে আবারো আলোচিত টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া বড় মনি ধরা ছোঁয়ার বাইরে। একাধিক সূত্র বলেছে, বড় মনি নিজেই প্রভাবশালী। তার ওপর রয়েছে আরো প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়া। সবমিলিয়ে শিগগিরই গ্রেফতার হচ্ছেন না বড় মনি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও তেমন নড়াচড়া করবেন বলে মনে হচ্ছে না। এর আগেও এক তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় দীর্ঘদিন পর গ্রেফতার হন তিনি। আর তিনি জেলহাজতে থাকাকালীন রহস্যজনকভাবে মারা যান ওই তরুণী।
এ দিকে পুলিশ বলেছে, একের পর এক ধর্ষণকাণ্ডে সমালোচিত টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিকে ধরতে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে তিনি পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পলাতক রয়েছেন। পুলিশ আশা করছে, কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণে অভিযুক্ত বড় মনিকে দ্রুতই আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
গত শুক্রবার রাতে তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটি আবাসিক এলাকায় বড় মনিরের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ওই তরুণীর অভিযোগ তার স্বামী বিদেশে থাকে। কিছুদিন ধরে বড়মনির সাথে তার মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয়। এরপর একদিন সে বড় মনির সাথে গাড়িতে ঘুরেছে। ঘটনার দিন তাকে একটি স্থানে দাঁড়াতে বলে। সেখান থেকে রিকশায় করে তাকে নিয়ে যায় বড় মনির বাসায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর ওই তরুণী ট্রিপল নাইনে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
বড় মনি একজন ব্যবসায়ী ও রাজধানীতিবিদ। তিনি টাঙ্গাইলের বাস মালিক সমিতির সভাপতি। আওয়ামী লীগের নেতা। তার ছোট ভাই ছোট মনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য। এর আগেও তার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ অনেক অভিযোগ পাঠায়।
পুলিশ বলেছে, ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের পরই ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়। ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করছে পুলিশ।
বড় মনি হলেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই। প্রভাবশালী একটি পক্ষের ছত্রচ্ছায়ায় মনি পরিবার এখন টাঙ্গাইলের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণকর্তা। তাদের সবাই এখন ভয় পায়। গত বছর টাঙ্গাইলে এষা নামে আরেক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ এবং তারপর জোর করে গর্ভপাত করানোর অভিযোগও আনা হয় বড় মনিরের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে ওই সময় তোলপাড় হয়। বিভিন্ন মিডিয়ায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। একপর্যায়ে এষার দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বড় মনি গ্রেফতার হয়। মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তের পরিবার এষাকে ফাঁসাতে নানা ফন্দী আঁটে। তাকে নষ্ট মেয়ে ও মাদকাসক্ত হিসেবে চিহ্নিত করারও চেষ্টা চালানো হয়। ওই মামলায় কারাগারে বসেই এষাকে হত্যার হুমকি দেয় বড় মনি। এ বিষয়ে তখন টাঙ্গাইলের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা চেয়েও পায়নি এষা। এর কিছুদিন পর রহস্যজনকভাবে মারা যায় এষা। এষা মারা যাওয়ার পর বড় মনির বিরুদ্ধে কোনোই অভিযোগ করা হয়নি। উল্টো এষার এক বন্ধুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের নিক্সন হত্যার সাথেও বড় মনি জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা