১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারো ধর্ষণের অভিযোগ

-

টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে আবারো ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রব্রা রাতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ফোন পেয়ে বড় মনিরের তুরাগের বাসা থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে ততক্ষণে পালিয়ে যান বড় মনির। ভুক্তভোগী তরুণী বাদি হয়ে তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন।
তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা আনোয়ার জানান, এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বড় মনির টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। এ ছাড়া জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব এবং টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই কলে জানা গেছে। তিনি আগের একটি ধর্ষণের মামলায় বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী মামলায় অভিযোগ করেন, ফেসবুকে গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের সাথে পরিচয় হয়। প্রথম পর্যায়ে হাই-হ্যালো হতো। একপর্যায়ে বড় মনির ভুক্তভোগীকে ছোট বোন বলে সম্বোধন করে। যার কারণে তার সাথে ওই ছাত্রীর হোয়াটসঅ্যাপে অডিও-ভিডিওতে কথা হতো।

ভুক্তভোগী ছাত্রী আরো বলেন, গত ২৯ মার্চ ইফতারের পর গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির ভুক্তভোগী ছাত্রীকে মেসেজ দিয়ে জমজম টাওয়ারের সাথে এপেক্স শো রুমের সামনে থাকতে বলে। সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের সময় এপেক্স শো-রুমের সামনে অপেক্ষা করার ১০/১৫ মিনিট পর বড় মনির রিকশা নিয়ে আসেন। পরে ওই ছাত্রীকে রিকশায় উঠতে বলেন। তার কথামতো ভুক্তভোগী ছাত্রী রিকশায় উঠেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে তুরাগ থানাধীন প্রিয়াংকাসিটি ৬ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার পশ্চিম পাশের ফ্ল্যাটের তৃতীয় তলার উত্তর-পশ্চিম পাশের রুমের ভেতর নিয়ে যান। এরপর রুমের দরজা বন্ধ করে জোর করে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পর ভুক্তভোগী তার বাবাকে ফোন করে জানায়। এরপর তার বাবা জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা চান। খবর পেয়ে সাথে সাথে পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে। তবে উদ্ধারের সময় বড় মনিরকে ওই বাসায় পাওয়া যায়নি।


আরো সংবাদ



premium cement