জন্মহার বাড়াতে দ্রুতগতির ট্রেন
- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ৩১ মার্চ ২০২৪, ০২:০৭
বর্তমানে বিশ্বের সর্বনিম্ন জন্মহার এশিয়ার দেশ দক্ষিণ কোরিয়ায়। এর পেছনে উঠে এসেছে দেশটির তরুণ-তরুণীর বিয়েতে অনাগ্রহ। তাদের অভিযোগ, বিয়ে ও পরিবার শুরু না করার পেছনে অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে বৃহত্তর সিউলে ব্যয়বহুল আবাসন ও দীর্ঘ যাত্রা। সারা দেশের তুলনায় সিউলে জন্মহার আরো কম। ভর্তুকিসহ বিভিন্ন পন্থায় জন্মহার বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কিন্তু এসব উদ্যোগে খুব একটা সাফল্য আসেনি। দীর্ঘ সময়ের কষ্ট কমাতে নতুন একটি দ্রুতগতির ট্রেন পরিষেবা চালু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। এটি চালু হলে রাজধানী সিউলের কেন্দ্র ও শহরতলিতে যাতায়াতের সময় কমবে। প্রকল্পটির এক কর্মকর্তার আশা, এর ফলে তরুণরা শহরের বাইরে বসবাসে উৎসাহী হবে এবং সন্তান জন্মদানে আগ্রহী হবে। কর্মকর্তারা এখন বাজি ধরছেন গ্রেট ট্রেন এক্সপ্রেস (জিটিএক্স) প্রকল্পের ওপর। ৯৯ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে ভূগর্ভস্থ দ্রুতগতির ট্রেন প্রকল্পটির নির্মাণ করা হবে। ২০৩৫ সালের মধ্যে ছয়টি রুটে সিউলের সাথে আশপাশের অঞ্চলকে যুক্ত করবে প্রকল্পটি।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল প্রথম রুটের একটি শাখা উদ্বোধন করেছেন। এটি চালু হওয়ার ফলে রাজধানীর সুসিও থেকে ডঙ্গটান শহরে যাতায়াতের সময় ১৯ মিনিটে নেমে আসবে। বর্তমানে বাসে যাতায়াতে সময় লাগে ৮০ মিনিট। উদ্বোধনের সময় প্রেসিডেন্ট বলেছেন, যাতায়াতে সময় কমে যাওয়ায় মানুষ পরিবারের সাথে আরো বেশি সময় কাটাতে পারবেন। কর্মকর্তারা বলেছেন, শনিবার এই রুটে ট্রেন চলাচল শুরু করবে। পুরোপুরি চালু হওয়ার পর জিটিএক্স হবে বিশ্বের দ্রুতগতির ভূগর্ভস্থ ট্রেন ব্যবস্থার একটি। ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এই নেটওয়ার্কের ট্রেন।
কয়েকজন বিশ্লেষক অবশ্য বলছেন, জিটিএক্স চালু হলে দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রামীণ এলাকা থেকে আরো মানুষ ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানীতে চলে আসবে। ইন্টারনেট।