১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`
চট্টগ্রামে আমীর খসরু

গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আ’লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে

-


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির চলমান সংগ্রাম অব্যাহত আছে, অব্যাহত থাকবে। দেশের গণতন্ত্রকামী সব মানুষ চলমান আন্দোলনে এখনো আছে, সামনেও থাকবে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত। তিনি বলেন, আমরা হালুয়া রুটি খাওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। এমপি-মন্ত্রী হওয়ার জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা ্্আন্দোলন করছি বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক রাজনীতির সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের মানুষের মালিকানা ফিরিয়ে দেয়ার জন্য। বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য। আমরা আন্দোলন করছি বাংলাদেশের মানুষের সমস্ত অধিকার ফিরিয়ে এনে একটা মুক্ত বাংলাদেশ তৈরির জন্য। সেই আন্দোলন চলমান আছে এবং ৭ জানুয়ারির পরে আজ সেই আন্দোলন অনেক বেশি শক্তিশালী। বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সুশীলসমাজ, কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
তিনি গত মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেশন সেন্টারে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ইফতার মাহফিল, মহান স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভা এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে কারানির্যাতিত নেতাকর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা: শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব আবুল হাসেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং।

এতে বিগত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৭ জানুয়ারি নির্বাচন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে কারানির্যাতিত নেতাকর্মী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
আমীর খসরু বলেন, আজ বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল হবে কি হবে না এটা প্রশ্নবিদ্ধ। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে কৃচ্ছ্রতা সাধনের কথা। মানে ইফতার মাহফিলেও কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে, এই পর্যায়ে বাংলাদেশ এখন পৌঁছে গেছে। লক্ষ লক্ষ, কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করছে, ব্যাংক খালি করে ফেলা হয়েছে, দুর্নীতি এবং লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ দুই বেলা খেতে পারছে না, ইফতার মাহফিলে কৃচ্ছ্রতা সাধন করতে হবে! বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল নিয়ে প্রশ্ন উঠবে, সেটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। কোনো কোনো জায়গায় গরুর গোশতের বিষয়ে নোটিশ দেয়া হচ্ছে সার্ভ করা যাবে না। বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক অধিকার, সাংবিধানিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সব তো কেড়ে নিয়েছে, এখন আবার খাওয়া-দাওয়ার অধিকারও কেড়ে নিতে হবে? আমি গরুর গোশত খাব না ইফতার করব এটাও তাদেরকে (সরকার) সিদ্ধান্ত দিতে হবে, কেন?
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, আমরা শহীদ জিয়ার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে এখন কোথায় চলে এসেছি? আমি অনুরোধ করব, ডিএনএ টেস্ট না করে বিএনপির নেতৃত্ব ঠিক করা যাবে না। কারণ নেতৃত্ব এখন অনেক দুর্বল জায়গায় চলে গেছে। তাই আমাদেরকে শক্ত হাতে দলীয় আদর্শের প্রতি বিশ্বাসী লোকদের নিয়ে আসতে হবে। শহীদ জিয়ার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে হলে তার আদর্শিত নির্দেশনা মেনেই দল করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা: শাহাদাত হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালোরাত্রিতে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই পাশর্^বর্তী দেশে চলে গিয়েছিলেন। নেতৃত্বশূন্য এই জাতিকে মুক্তি দিতে এগিয়ে এসেছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন।


আরো সংবাদ



premium cement