‘নিয়ম ভঙ্গ’ করে ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ!
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
রাজধানীর দুই কোটি অধিবাসীর জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহে ওয়াসার রয়েছে একাধিক শোধনাগার প্রকল্প। দাফতরিক নিয়ম অনুযায়ী ওয়াসার কোনো প্রকল্পের প্রধান বা প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করার কথা একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর। কিন্তু অনেকটা নিয়ম বহির্ভূতভাবেই মোস্তাফিজুর রহমান নামে একজন জুনিয়র প্রকৌশলীকে (নির্বাহী প্রকৌশলী) ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার ফেজ-৩’ প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ৩০ জনকে ডিঙিয়ে শুধু পিডি নিয়োগ দেয়া হয়নি, জুনিয়র এ কর্মকর্তার অধীনে একই প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করতে হবে সিনিয়র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে। এ নিয়ে ওয়াসার প্রকৌশলীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
এমন অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও সচিবের কাছে আবেদন জানিয়েছেন ওয়াসার প্রকৌশলীরা। তারা এ নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
ওয়াসার একাধিক প্রকৌশলী নাম না প্রকাশের শর্তে জানান, দায়িত্ব পেয়েই প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান বিদেশী একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দিয়ে বড় অনিয়মে জড়িয়েছেন। বলা হচ্ছে, একটি নির্দিষ্ট দেশের নির্দিষ্ট কোম্পানিকে কাজ পাইয়ে দিতে টেন্ডারে বিশেষ শর্ত যোগ করিয়েছেন তিনি। এ সবের অভিযোগের তদন্তের দাবি জানিয়ে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের পানি সরবরাহের পাইপ লাইন বসানোর প্রকল্পে ঠিকাদার নিয়োগের ক্ষেত্রেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে, অনিয়মের বিষয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন বিদেশী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এক প্রতিনিধি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পানি শোধনাগারের পাইপ লাইন প্রকল্পের দরপত্র পরবর্তী মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান জিপসামকে কাজ দিতে প্রভাব খাটানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট ফেজ ৩-এর প্রাকযোগ্যতার ক্ষেত্রে ফরাসি প্রতিষ্ঠান ডিগ্রিমন্ট ও সুইজ ইন্টারন্যাশনালকে সুবিধা দিতে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অভিজ্ঞতার সনদসহ নানা শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে। এই দুই প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশী এজেন্টদের সাথে হাত মিলিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে বিশেষ সুবিধা দিতে টেন্ডারের শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জনসংযোগ শাখায় লিখিতভাবে তথ্য চাওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রকল্প পরিচালক ও প্রশ্নবিদ্ধ টেন্ডার-প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিম ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা কেউই ফোন ধরেননি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা