নতুন কারিকুলামে গণিত ও বিজ্ঞানে ৬০ হাজার শিক্ষক সঙ্কট
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেয়ার চিন্তা- শাহেদ মতিউর রহমান
- ০৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০৫
নতুন কারিকুলামে শিক্ষাদানের শুরুতেই বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করেছে। ক্লাসরুমে শিক্ষাদানে গণিত আর বিজ্ঞানের শিক্ষক সঙ্কট থাকায় কারিকুলাম বাস্তবায়নে হোঁচট খাচ্ছে সরকার। তাই বিকল্প হিসেবে এখন ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ক্লাসরুমের দায়িত্ব দেয়ারও চিন্তা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকের সঙ্কট রেখে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।
গতকাল শনিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক সঙ্কট মেটাতে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার উদ্যোগ নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স-বাংলাদেশ (আইইডিবি) মিলনায়তনে সংগঠনটির জেলা ও সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রতিনিধি সম্মেলন ও বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কাজে লাগাতে এবং বর্তমান কারিকুলামে যে শিক্ষা দর্শন, অ্যাক্টিভিটি বেইজড লার্নিং, সেখানে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। যেহেতু আমাদের চাহিদা আছে। ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা শিক্ষক হিসেবে গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে আসতে পারেন। আমাদের নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গণিত ও বিজ্ঞানের অনেক শিক্ষক প্রয়োজন। আমরা মনে করছি ৬০ হাজারের মতো গণিত ও বিজ্ঞানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে। সেখানে আমাদের ডিপ্লোমা পাস করা ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োজিত করতে পারলে শিক্ষক সঙ্কট সমাধান করা সম্ভব হবে । সেটি আমাদের বিবেচনায় আছে।
অপর দিকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্নাতক সমমানের মর্যাদা দেয়া প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একজন এসএসসি পাস শিক্ষার্থীর বিএসসি (পাস কোর্স) পাস করতে সময় লাগে পাঁচ বছর। অন্য দিকে ডিপ্লোমা পাস করতে সময় লাগে চার বছর। সে ক্ষেত্রে ডিপ্লেমা পাস করা একজন শিক্ষার্থী এক বছর কোনো সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করলে তাকে বিএসসি (পাস) সমমানের মর্যাদা দেয়া যেতে পারে। সে বিষয়ে অংশীজনের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা