২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

কেসিসিতে আলোচনায় জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা

-

জামায়াতের সমর্থন নিয়ে পাঁচ কাউন্সিলর প্রার্থী খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের মাঠে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। দিন যত গড়াচ্ছে সাধারণ ভোটারদের কাছে ক্লিন ইমেজ আর সৎ, যোগ্য ও ব্যক্তিত্বের মাপকাঠিতে এসব প্রার্থী আলোচনায় উঠে এসেছেন। এবার জামায়াত প্রার্থী জোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এমনটি শোনা যাচ্ছে সাধারণ ভোটারদের মাঝে। তবে অনেকে আবার ২০১৮ সাল মার্কা নির্বাচন হবে কিনা তা নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন। সব মিলিয়ে ভোটের মাঠে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের নিয়ে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়েছে। প্রার্থীরাও দিনরাত প্রচার ও গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। নগরীর প্রবেশদ্বার ১ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে দৌলতপুর থানা জামায়াতের নায়েবে আমির আজিজুর রহমান স্বপন এবার সুবিধাজনক অবস্থান আছেন। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু হলে তিনি জয়লাভ করতেন। এবার ভোটাররা যদি শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারে তাহলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। একসময়ের শিল্পাঞ্চল খ্যাত খালিশপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে মহানগর জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির মাস্টার মো: শফিকুল আলম লড়ছেন। শ্রমিকদের দাবি আদায়ের সংগ্রামে সামনের কাতারে নেতৃত্ব দেয়া শ্রমিক-কর্মচারীদের বিপদ-আপদে পাশে থাকা এই নেতা এবারো মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় উঠে এসেছেন। নগরীর ১৮ নম্বরে ওয়ার্ডে ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট প্রতীক নিয়ে লড়ছেন ওয়ার্ড আমির মশিউর রহমান রমজান। ২০০৮ সালে এই ওয়ার্ডে জামায়াত প্রার্থী জয়লাভ করে। বয়সে তরুণ ও উদীয়মান রমজান শক্ত প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ভোট ভাগাভাগিতে রমজান এবার চমক দেখাবেন বলে মনে হচ্ছে। ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে লাটিম প্রতীক নিয়ে সোনাডাঙ্গা থানা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি, অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম পান্না গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। সময়ের সাথে সাথে তার অবস্থানও পরিবর্তন হচ্ছে। নগরীর আরেক প্রবেশদ্বার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে টিফিন ক্যারিয়ার মার্কা নিয়ে মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ২০১৩ সালে এই ওয়ার্ডে তিনি কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। সাবেক এই ছাত্রনেতা এবার ভোটের সমীকরণে বিজয়ের হাসি হাসবেন বলে সাধারণ ভোটারদের আলোচনায় উঠে এসেছে।
মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, জামায়াত মেয়র পদে প্রার্থী দেয়নি। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদটি নির্দলীয়। অনেক নেতা এবং তাদের পরিবার নিজ এলাকায় জনপ্রিয়। এর আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকে অংশ নিয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো কয়েকজন প্রার্থী হয়েছেন। এটি তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।


আরো সংবাদ



premium cement