০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১, ৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`
বিএফইউজে-ডিইউজের নিন্দা

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা গণমাধ্যমের জন্য অশনি সঙ্কেত

-


দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কাওরান বাজারের প্রধান কার্যালয়ে কতিপয় দুর্বৃত্তের হামলার চেষ্টার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। নেতৃবৃন্দ এ ঘটনাকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রের জন্য অশনি সঙ্কেত বলে অভিহিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এবং ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম এক যুক্ত বিবৃতিতে বলেন, গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, একটি প্রতিবেদন প্রকাশের জের ধরে গত বেশ কিছুদিন যাবৎ ‘দৈনিক প্রথম আলো’ ঘিরে দেশে শাসকগোষ্ঠী রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। ওই প্রতিবেদন নিয়ে পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানসহ তিন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা দায়ের এবং একই মামলায় পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে গভীর রাতে বাসা থেকে তুলে নিয়ে ৩০ ঘণ্টা পর আদালতে উপস্থাপনের পরও মনে হয় আক্রোশ মিটেনি। যে কারণে সব শ্রেণী-পেশার সুবিধাভোগীরা একাট্টা হয়ে গণমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার আহ্বান জানাতেও কুণ্ঠা বোধ করছে না। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের সরকার প্রধান গত সোমবার জাতীয় সংসদের মতো পবিত্র জায়গায় দাঁড়িয়ে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে সরাসরি বিষোদগার করেছেন। এর পরপরই পত্রিকাটির কার্যালয়ে হামলার চেষ্টার ঘটনা ঘটে।


গণমাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদে বলা হয়, ‘দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার কাওরান বাজারের প্রধান কার্যালয়ের সামনে কিছু যুবক হট্টগোল করেছে। এ সময় তারা পত্রিকাটি বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং কর্মীদের গালিগালাজ করে। পত্রিকার প্রগতি ভবনের নিচ তলায় অবস্থিত অভ্যর্থনা কেন্দ্রে লাল কালি দিয়ে ‘প্রথম আলো বয়কট’ লিখে দেয় হট্টগোলকারীরা। তারা প্রথম আলো সম্পাদককে খুঁজতে থাকেন। ভবনের ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করলে প্রথম আলোর নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের বাধা দেন। একপর্যায়ে তারা স্থান ত্যাগ করে। প্রথম আলোর একজন নিরাপত্তা কর্মী জানান, ৪ থেকে ৫ জন যুবক অভ্যর্থনা কেন্দ্রের সামনে অবস্থান নিয়ে হট্টগোল করে। একই সময়ে আরো কিছু যুবক দূরে দাঁড়িয়ে ছিল। ’
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকের কোন প্রতিবেদন নিয়ে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে তার প্রতিকার পেতে প্রেস কাউন্সিলের শরণাপন্ন হতে পারেন। কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা না করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন কালাকানুনে মামলায় জড়িয়ে সাংবাদিকদের হয়রানির পর মাস্তানি কায়দায় ভয়ভীতি প্রদর্শন স্বাধীন ও মুক্ত সাংবাদিকতার জন্য চরম হুমকি। যা সাংবাদিক সমাজকে উদ্বিগ্ন করছে। সরকার প্রধানের চেয়ার থেকে সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানকে প্রতিপক্ষ বানানো অগ্রহণযোগ্য ও অনভিপ্রেত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে যে কোনো হঠকারী পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। বিজ্ঞপ্তি।


আরো সংবাদ



premium cement