গরিবের খাদ্য ব্যয়ের ৩২ ভাগ যায় চালে
বিআইডিএসের গবেষণা- অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
- ১০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
চরম দরিদ্র জনগোষ্ঠীর খাদ্যব্যয়ের ৩২ শতাংশ যায় চালের জন্য। বাজারে চালের দাম বাড়লেও সাধারণ মানুষের মধ্যে অত্যাবশ্যকীয় এই পণ্যের ভোগ কমে না। তবে এ সময় চাল কিনতে ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়াতে কমে আসে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে পরিচিত মাছ, গোশত, ফলমূল ও ডালের চাহিদা। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) এই তথ্য দিয়েছে। সংস্থার গবেষণায় বলা হয়, এই অবস্থায় বেড়ে যায় সবজির চাহিদা। চালের সবচেয়ে বড় ভোক্তাশ্রেণী হলো চরম দরিদ্র মানুষ।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত সরকারি এই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়। গবেষণাটি পরিচালনা করেন ড. ওয়াসেল বিন সাদাত। প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের ব্যয়ের ২৯ শতাংশ ব্যয় করে চালের জন্য। তবে খাদ্যের পেছনে জাতীয় ব্যয়ের ২১ শতাংশ খরচ হয় চালে। এ দিকে নারীদের তুলনায় পুরুষ বেশি পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে থাকে। আবার পণ্যের দাম ১০ শতাংশ বাড়লে মাছ-গোশতের চাহিদা কমে বেড়ে যায় সবজি ও ফলের।
গবেষণা মতে ব্যয়ের মধ্যে খাদ্যের অংশ সবচেয়ে বেশি। গ্রামীণ এবং গরিব পরিবারগুলো পরিবারের পুষ্টি জোগাতে খাদ্যের জন্য বেশি ব্যয় করে। পরিবারগুলোর খাদ্যচাহিদা আচরণ বৈচিত্র্যময়, বহুমাত্রিক। খাদ্যব্যয়ের প্যাটার্ন এবং স্থিতিস্থাপকতা সম্পর্কে আরো ভালো বোঝার জন্য কৃষিনীতির সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত বিষয় রয়েছে। মূল খাদ্য আইটেমের দামে পরিবর্তনের অনুকরণীয় প্রভাব নীতি বিকল্পগুলো তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।
করোনার সময়ে মানুষের আয়ে প্রভাব পড়ার বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম লকডাউনের সময় মানুষের আয় ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গিয়েছিল। তবে লকডাউনের শেষে তা ৪৩ শতাংশে নেমে আসে। আর দ্বিতীয়বার লকডাউনের শেষে আয় হ্রাসের পরিমাণ দাঁড়ায় ৪ শতাংশ। অর্থাৎ মানুষের আয় পুনরুদ্ধার হয়ে আসে লকডাউন উঠে যাওয়ার ফলে।
গবেষণার বিষয়ে ড. বিনায়ক সেন বলেন, গবেষণায় উঠে এলো দাম বাড়লে মানুষের পুষ্টিকর খাবারের ক্ষেত্রে এক ধরনের ছাড় দিতে হয়। এটা একটি দারুণ তথ্য। আরেকটি বিষয় উঠে এসেছে সেটা হলো করোনার কারণে আয় হ্রাসের পরিমাণ ৭০ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশে উঠে এসেছে। এখানে দারুণ একটি পুনরুদ্ধার ঘটেছে। আমরা যে শুধু পলিসি নিয়ে কাজ করি না, বরং মাইক্রো অর্থনীতি নিয়েও কাজ করি গবেষণা তার একটি প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন ড. সেন।
প্রতিবেদন প্রকাশের পর এক প্রশ্নের জবাবে গবেষক ড. ওয়াসেল বলেন, অনেক সময় বলা হয় মুরগির দাম বেড়ে গেলে মানুষ মাছ খাবে বেশি, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। মাছের দাম বাড়লে ফল ও ডালের ভোগ বাড়বে। আবার গোশতের দাম বাড়লে সব কিছুর ভোগ কমে আসবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা