শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হতেই যানজটে দিশেহারা মানুষ
- আবু সালেহ আকন
- ১৬ মার্চ ২০২২, ০০:১১
করোনার প্রথমদিকে রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও শেষের দিকে রাজধানীতে যে যানজট ছিল না; তেমন নয়। তবে তা ছিল সহনীয়। কোথাও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়েছে তেমন নয়। গতকাল মঙ্গলবার ছিল ঠিক উল্টো চিত্র। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গতকাল শিক্ষাকার্যক্রম পুরোদমে শুরুর দিনেই যানজটে অচল হয়ে পড়ে রাজধানী। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহনে আটকে থেকে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। সময়মতো পৌঁছতে না পারায় অনেকের গুরুত্বপূর্ণ কাজ নষ্ট হয়ে যায়। অনেকে নির্ধারিত সময়ের বাস-ট্রেন মিস করে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন।
মাহবুব উল আলম নামে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাজধানীর গাবতলী থেকে ফার্মগেট যেতে তার সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা। ছিদ্দিকুর রহমান নামে একজন বলেছেন, মোহাম্মদপুর থেকে প্রেস ক্লাবে আসতে তার সময় লেগেছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী তার ওয়ালে লিখেছেন, সকালে দুই ঘণ্টা যানজটে আটকে থেকে তার ট্রেন মিস হয়েছে। ৯টায় ট্রেন ছিল। নির্ধারিত সময় কাঁঠালবাগানের বাসা দিয়ে বের হয়েও দুই ঘণ্টা দেরি হয়েছে স্টেশনে পৌঁছতে। গতকাল এভাবে অনেকেই তাদের ভোগান্তির কথা লিখেছেন ফেসবুকে।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি খুলে দেয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর ২ মার্চ প্রাথমিক ও সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার শুরু হলো প্রাক-প্রাথমিকের শ্রেণী পাঠদান। পুরোদমে স্কুল খোলার দিনেই রাজধানীতে সৃষ্টি হয়েছে এই তীব্র যানজট। সেই সাথে তীব্র গরমের কারণে যানজটে আটকে থাকা মানুষের ভোগান্তি দুর্বিষহ করে তোলে।
গতকাল সকাল থেকে রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, বাংলামোটর, শাহবাগ, মতিঝিল, রামপুরা, তেজগাঁও, ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। এর রেশ চলছিল বিকেল পর্যন্ত। এই যানজট সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মানিকনগর বিশ^রোডের মোড়ে চারজন পুলিশ সদস্যকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। এর মধ্যে একজন সার্জেন্ট, আর তিনজন কনস্টেবল। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এখানে একজন কনস্টেবল দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
পুলিশ সদস্যরা বলছেন, পুরোদমে স্কুল শুরু হয়েছে। সকাল থেকেই অভিভাবকরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তার সন্তানকে নিয়ে এসেছেন। তাদের অনেকের সাথেই গাড়ি রয়েছে। আর এই গাড়ির কারণেই সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। এক দিকে স্কুল-কলেজ, অন্য দিকে অফিস; দুইয়ে মিলেই সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে। আর এর ফলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তেজগাঁও বিভাগের ট্রাফিক উপপুলিশ কমিশনার গণমাধ্যমকে বলেন, স্কুলে আসা অনেক গাড়িই সড়কের পাশে পার্কিংয়ে রাখা হয়। স্কুল-কলেজ পুরোদমে খোলায় সড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়েছে, সেই সাথে অফিসগামী মানুষের চাপতো আছেই। যে কারণে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজটের।
অনেকে আবার গুগলম্যাপ অনুযায়ী যানজট এড়াতে এক রাস্তা থেকে অন্য রাস্তায় গিয়ে আরো বিপাকে পড়েছেন। এই দেখা গেছে এক রাস্তায় যানজট। পর মুহূর্তেই দেখা গেছে পাশের রাস্তায় যানজট। একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, এভাবে রাস্তা পরিবর্তন করে তারা আরো বিপদে পড়েছেন। দেখা গেছে ৫ মিনিট বাঁচাতে গিয়ে অন্য রাস্তা ধরে সেখানে আরো ২০ মিনিট নষ্ট হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা