২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

আ’লীগের ঘাঁটিতে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও তৎপর

দিনাজপুর-৫ আসন
-

ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন দিনাজপুর-৫। ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন ও দু’টি পৌরসভা নিয়ে এ আসন। আসনটিতে ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজার রহমান ফিজার। তিনি বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনেও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন তিনি। নির্বাচনী পরিসংখ্যান বলছে, আসনটি আওয়ামী লীগের শক্ত ঘাঁটি। তবে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা আসনটিতে এবার জয় পেতে ভোটের মাঠে বেশ তৎপর।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে এ আসনের রাজনৈতিক মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও বইছে নির্বাচনী হাওয়া। ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে প্রচারণা শুরু করেছেন ওই দুই দলের সম্ভব্য প্রার্থীরা। তুমুল আলোচনা চলছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও। সম্প্রতি দুর্গা পূজার সময় সব দলের সম্ভাব্য প্রার্থীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। পূজার সময় বড় দুই দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বিভিন্ন মণ্ডপে শুভেচ্ছাবিনিময় করেন।
দিনাজপুর-৫ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন টানিয়েছেন। তা শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। পাড়া-মহল্লার বিভিন্ন স্থানে সামাজিক কর্মকাণ্ড ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছাবিনিময় ও তাদর খোঁজখবর রাখছেন তারা। নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে; সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে।
এ আসনে বর্তমান সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান ফিজার ছাড়াও মনোনয়নপ্রত্যাশী আরো যারা রয়েছেন তারা হলেনÑ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাকারিয়া জাকির, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ফুলবাড়ী পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, এস এইচ সাজ্জাদ মাহামুদুন নবী চৌধুরী ও পার্বতীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সৈয়দুল আলম শান্তু।
অন্য দিকে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেনÑ সাবেক সংসদ সদস্য এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, ৭ নম্বর সেক্টর মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী সরকার। বিএনপির মনোনয়নে মনসুর আলী সরকার ১৯৭৯ সালে এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে তিনি জাতীয় পার্টির মন্ত্রিপরিষদে যোগ দিয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এবং পরে রাষ্ট্রপতির শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ২০০৬ সালে ফের বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পাননি তিনি। আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল থেকে মনোনয়ন পেতে চেষ্টা করছেন।
দিনাজপুর-৫ আসনে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী এ জেড এম রেজওয়ানুল হক পরাজিত হয়ে নেতাকর্মী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন কিছু দিন। তবে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হিসেবে দলের নতুন সদস্য সংগ্রহ অভিযানে অংশ নেন। তিনি দলের নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জেড এম রেজওয়ানুল হক ১৯৯৫ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। তারপর থেকে ফুলবাড়ী ও পার্বতীপুর উপজেলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে সমন্বয় করে আসছেন। তিনি ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারো তিনি মনোনয়ন চাইবেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা বিএনপির সভাপতি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি দলের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানিয়েছেন। এ জন্য তিনি দলের ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনি ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে রাজনীতি শুরু করে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এবং বর্তমানে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
দিনাজপুর-৫ আসনে ১৯৭৯ সালে দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচন, ১৯৮৮ সালে চতুর্থ সংসদ নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্র“য়ারি ষষ্ঠ সংসদ নির্বাচন ছাড়া এ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রতিবারই জয়ী হয়েছেন। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত ১০টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাতবার জয়ী হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
১৯৭৩ সালে প্রথম সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট সরদার মোশাররফ হোসেন (আওয়ামী লীগ), ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে মো: মনসুর আলী সরকার (বিএনপি), ১৯৮৬ সালে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ), ১৯৮৮ সালে এম এ শোয়েব (জাতীয় পার্টি), ১৯৯১ সালে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ), ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্র“য়ারি বিএনপির এ জেড এম রেজওয়ানুল হক (বিএনপি), ১৯৯৬ সালে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ), ২০০১ সালের অষ্টম সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ), ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ) এবং ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে মোস্তাফিজার রহমান ফিজার (আওয়ামী লীগ) জয়ী হন।


আরো সংবাদ



premium cement
নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা, অন্যদের কথা ব্যক্তিগত : প্রেস উইং সালাহর জোড়া গোলে জিতল লিভারপুল ১০ সাংবাদিকসহ ১১ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের ৬ দফা মেনে নেয়ার আহবান হাসিনা-কন্যা পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনের ব্যাংক লেনদেন স্থগিত বুটেক্স-পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে : প্রেস উইং ব্যর্থ টপ অর্ডার, মুমিনুলের ফিফটির পর পথ দেখাচ্ছেন লিটন তেজগাঁওয়ে বুটেক্স ও ঢাকা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে এসডিজি কার্যক্রমে যুক্ত হচ্ছে ড. ইউনূসের ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’

সকল