বিজয় ধরে রাখতে চায় আ’লীগ পুনরুদ্ধারে তৎপর বিএনপি
কুমিল্লা-৪ আসন- মো: ফখরুল ইসলাম সাগর দেবিদ্বার
- ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদের তফসিল ঘোষিত না হলেও গোমতী তীরের কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনে নির্বাচনের মাঠ বেশ সরগরম হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দল থেকে কে মনোনয়ন পাবেন? বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে কি না? এমন সব আলোচনা-সমালোচনা এখন উপজেলার সর্বত্র। ১৫টি ইউনিয়ন এবং ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত দেবিদ্বার সংসদীয় আসনটি। এখানে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯ হাজার প্রায়। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকা বেশ দীর্ঘ। অন্তত হাফ ডজন। বিএনপি থেকে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর তালিকায় রয়েছেন অন্তত ৩ জন। এ ছাড়াও জাপা ও ন্যাপসহ অন্যান্য দল মিলিয়ে অন্তত এক ডজন প্রার্থী মনোনয়ন লবিংয়ে এখন ব্যস্ত। তবে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন দৌড়ে ও জনপ্রিয়তায় এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে ও বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এবং বিএনপি থেকে ৪ বারের সংসদ সদস্য আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী।
এ আসনে ১৯৭৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ক্যাপ্টেন (অব:) সুজাত আলী এমপি নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে নির্বাচিত হন ন্যাপ নেতা অধ্যাপক মোজাফফর আহাম্মদ। ১৯৮৬ এবং ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী এমপি নির্বাচিত হন। তিনি এরশাদ সরকারের অর্থ-উপমন্ত্রীও হয়েছিলেন। ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর কাছে মাত্র ১১ শ’ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন ন্যাপের প্রার্থী সাবেক এমপি অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ। ১৯৯৫ সালে ফখরুল ইসলাম মুন্সী আওয়ামী লীগে যোগদান করে ’৯৬ সালের নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর কাছে পরাজিত হন। ১৯৯১ সাল থেকে একটানা ২০০৬ পর্যন্ত এ আসনটি বিএনপির আলহাজ ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীর দখলে থাকায় আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। সর্বশেষ ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী ৯২ হাজার ৩২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী ৫৮ হাজার ৮৭৭ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। ওই নির্বাচনের পর মাঠে আসেন তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা রৌশন আলী মাস্টার। এ সময় তিনি এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম চালাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন। ২০০৭ সালে সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক জনমত নিয়ে মহাজোট থেকে রৌশন আলী মাস্টার মনোনয়ন পেয়েছিলেন; কিন্তু একই সালের ২২ জানুয়ারি ওই নির্বাচন বাতিল হয়ে যায়। পরে এ আসনে ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে যোগদান করেই মনোনয়ন ভাগিয়ে নেন সাবেক মন্ত্রী ও সচিব এ বি এম গোলাম মোস্তফা। ওই নির্বাচনে রৌশন আলী মাস্টার এ বি এম গোলাম মোস্তফাকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। ওই নির্বাচনে বিএনপির এমপি মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী আইনগত জটিলতায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারায় তার স্ত্রী মাজেদা আহসান মুন্সীকে মনোনয়ন দেয়া হয়, এতে ৩৩ হাজার ৬৯১ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের এ বি এম গোলাম মোস্তফা। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন রাজুকে মনোনয়ন দেয়া হয়, এতে ৬ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে স্বতন্ত্র পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হন প্রতিদ্বন্দ্বী তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় তরুণ নেতা রাজী মোহাম্মদ ফখরুল।
এদিকে নির্বাচনের দিন যতই এগিয়ে আসছে মাঠে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তৎপরতা ততই বাড়ছে। দলীয় কর্মসূচি ছাড়াও প্রার্থীরা বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। কেউ কেউ পাড়ায় মহল্লায় গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করছেন। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সীর ছেলে বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম গোলাম মোস্তফা, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্য এম হুমায়ূন মাহমুদ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টার। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ৪ বারের নির্বাচিত সাবেক সংদস সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খাঁন ও হংকং বিএনপির সভাপতি এ এফ এম তারেক মুন্সী। জাতীয় পার্টি থেকে ইকবাল হোসেন রাজু, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ন্যাপ থেকে অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহাম্মদের স্ত্রী সংরতি মহিলা আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আমেনা আহাম্মদ, জামায়াত থেকে দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মো: সাইফুল ইসলাম শহীদ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী জয়নাল আবেদিন ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হাজী আবুল কাশেম ওমানী জানান, এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর বিগত সাড়ে ৪ বছর এলাকার উন্নয়ন কার্যক্রম করে সাধারণ ভোটার কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। দলে এবং এলাকায় তার পাল্লাই ভারী। তরুণ প্রজন্মের এ নেতা ইতঃপূর্বে দেবিদ্বারে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের যুবসমাজের কাছে একজন প্রিয়মুখ। নির্বাচিত হয়ে তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্টসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। ইতঃপূর্বে তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সফলতার সাথে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। নির্বাচিত হওয়ার পর দেবিদ্বারকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও ডাকাতি মুক্ত করে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনেছেন। চলমান উন্নয়ন ও আধুনিক দেবিদ্বার গঠনে রয়েছে তার বিশেষ অবদান। দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে ও ভোটারদের জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনিই বেশ এগিয়ে রয়েছেন বলে এলাকার সচেতন মহলের অভিমত। কুমিল্লা উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও জেলা পরিষদ সদস্য শিরিন সুলতানা জানান, বর্তমান এমপির আমলেই নারীরা সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, শেলাই মেশিন বিতরণসহ অন্যান্য ভাতা প্রদানের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে নারীদের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বর্তমান এমপি। এরই মধ্যে বর্তমান এমপি দেবিদ্বারের বিভিন্ন এলাকায় নারীদের সাথে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে নারীদের বিভিন্ন প্রকল্প দিয়ে স্বাবলম্বী করে তাদের ভাগ্যের পবিরর্তন করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়াও সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে ও দলের তৃণমূলে ভোটারদের আরো সচেতন করার আহ্বান জানান।
এ বিষয়ে এমপি রাজী ফখরুলনয়া দিগন্তকে বলেন, নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত সহযোগিতায় গত সাড়ে ৪ বছরে আমি দেবিদ্বারে ৫ শ’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছি। ৫০ হাজার পরিবারকে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করেছি। আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনকে সুসংগঠিত করেছি। উপজেলার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতায়ন, ব্রিজ-কালভাট ছোট-বড় সড়কগুলো সংস্কার করা হয়েছে। ৩ শতাধিক বেকার যুবককে চাকরি দিয়েছি। ৩০টি প্রাইমারি স্কুলের ভবন, ৬টি মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজের নতুন ভবন করেছি। আমার নেতৃত্বেই দলের সব অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে। মনোনয়নের বিষয়ে তিনি আরো বলেন, শতভাগ আশাবাদী আমি নৌকা পাব। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই কাজ করে নেত্রীর হাতে নৌকা উপহার দিতে চাই।
আওয়ামী লীগের অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম গোলাম মোস্তফা জানান, কর্মিসভা ও বিভিন্ন জনসভায় জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নমূলক তথ্যচিত্র দেবিদ্বারের গণমানুষের কাছে তুলে ধরছিÑ এতে নৌকার পে গণজোয়ার সৃষ্টি হচ্ছে। নেত্রীর নির্দেশ মেনে গত নির্বাচনে মহাজোট প্রার্থীর পে কাজ করেছি। দলীয় কোনো শৃঙ্খলা ভঙ্গ করি নাইÑ কাজেই নেত্রী আমাকে এবার মূল্যায়ন করবে বলে আমি আশাবাদী।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী অধ্য এম হুমায়ূন মাহমুদ জানান, যারা আওয়ামী লীগের দুর্দিনে দলের পাশে থেকে কাজ করেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমার প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা এবার তাদেরকেই মূল্যায়ন করবে। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এই আসন থেকে আমাকে যদি নৌকার মনোনয়ন দেয় জনসাধারণের স্বতঃস্ফূর্ত ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হবো ইনশাআল্লাহ।
কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হাজী রৌশন আলী মাস্টার বলেন, বিএনপির আমলে দলের জন্য কাজ করতে এসে বার বার হামলার শিকার হয়েছি, ২টি মামলায় বহুবার জেল খেটেছি এর ফলে আমার ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১/১১-এর সময়ে আমার প্রিয় নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা না করার কারণে দীর্ঘ প্রায় ৩ সপ্তাহ যৌথবাহিনীর হেফাজতে নির্যাতনের শিকার হয়েছি। এটা নেত্রী ও দলের শীর্ষ নেতারাও জানেন। আমার বিশ^াস প্রধানমন্ত্রী এবার দলের জন্য আমার শ্রম, ত্যাগ, আনুগত্যের মূল্যায়ন করে আমাকে মনোনয়ন দেবেন। আমাকে মনোনয়ন দেয়া হলে আমি নেত্রীকে এ আসনটি উপহার দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এদিকে বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রসঙ্গে দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: গিয়াস উদ্দিন বলেন, দেবিদ্বার উপজেলা বিএনপি ও এর সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী বিএনপির একক প্রার্থী। তবে বিএনপি একটি বৃহৎ ও গণতান্ত্রিক দল। এ দলে একাধিক প্রার্থী থাকবে তাতে আমাদের আপত্তি নাই, কিন্তু দেবিদ্বার আসন থেকে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী আমাদের একক প্রার্থী। তিনি আরো বলেন, মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী দেবিদ্বার সংসদীয় আসন থেকে চার চার বার সংসদে দেবিদ্বারবাসীর পক্ষ থেকে জন প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দেবিদ্বারে মঞ্জু মুন্সীর নেতৃত্বে বিএনপি অনেক শক্তিশালী ছিল, আছে ও থাকবে।
অপর মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আউয়াল খাঁন বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে সক্রিয় কর্মী হিসেবে সততা ও নিষ্ঠার সাথে জীবনের প্রায় ৩৮ বছর ব্যয় করেছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি দেশ ও দলের স্বার্থে আমাকে দলের মনোনীত প্রার্থী করলে আমি কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনটি জনগণের অকৃত্রিম সমর্থনে দেশমাতাকে উপহার দেবো ইনশাআল্লাহ। দেবিদ্বারের আপামর জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের ল্েয নিপীড়ন-নির্যাতন, মাদক ও ুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধশালী দেবিদ্বার গঠনে আত্মনিয়োগ করাই আমার রাজনৈতিক জীবনের একান্ত ব্রত।
হংকং বিএনপির সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী এ এফ এম তারেক মুন্সী বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হলে ম্যাডাম জিয়ার নেতৃত্বে দেশের সকল ছোট বড় দলকে নিয়ে আমরা নির্বাচনে যাবো। আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া কোনো নির্বাচনে যাবো না। তিনি বলেন, হাইকমান্ডের নির্দেশনায় আমি দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছি, নেতাকর্মীদের পাশে থেকে দলীয় প্রতিটা প্রোগ্রামে আমি নিজে উপস্থিত থেকে কাজ করে যাচ্ছি। দেশমাতার মুক্তির আন্দোলনের সময়, বর্তমান সরকার আমাকে ও আমার কর্মীদেরকে জেলে পাঠিয়েছে, নেতাকর্মীরাও আমাকে মনে প্রাণে ভালোবাসে, আমি দলের জন্য সকল আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্য প্রস্তুত আছি।
দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াতের সংসদ সদস্য প্রার্থী মু. সাইফুল ইসলাম শহীদ বলেন, বর্তমান সরকারের নির্যাতনের ফলে জামায়াত জনগণের প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তাই তারা জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের ষড়যন্ত্রে নেমেছে। আগামী নির্বাচনে জামায়াত তার জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) নির্বাচনী এলাকায় বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ। এ ছাড়াও এই আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক ও তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো: মহসিন আলমও এলাকায় গণসংযোগ করছেন।