২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৭ শাবান ১৪৪৬
`

জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব ১৩ মার্চ তিন দিনের সফরে আসছেন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ফের সমর্থন
-

বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনকে আরো সক্রিয় করার লক্ষ্যকে সমানে রেখে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ আগামী ১৩ মার্চ তিন দিনের সফরে ঢাকা আসছেন।
মহাসচিবের ঢাকা সফরে রোহিঙ্গা সঙ্কট ছাড়াও জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে বাংলাদেশের অবদান, সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়া এবং পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনসহ বিস্তৃত ইস্যুতে আলোচনা হবে। তিনি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামরিক ও বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে তার সাক্ষাৎ হতে পারে। সফরকালে মহাসচিবের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাওয়ার কথা রয়েছে।
গুতেরেজের সফরকে সফল করতে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছিলেন মিয়ানমারবিষয়ক জাতিসঙ্ঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপ। তিনি প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টা, সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদেশী কূটনীতিক ও জাতিসঙ্ঘের স্থানীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছেন। এ ছাড়া তিনি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসবেন জাতিসঙ্ঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআরের প্রধান ফিলিপো গ্রান্ডি। তিনিও সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনার পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাবেন।
গতকাল নিউইয়র্কে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন থেকে জানানো হয়েছে, জাতিসঙ্ঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেজ আগামী ১৩ থেকে ১৬ মার্চ বাংলাদেশ সফর করবেন। এটি জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের কার্যালয় থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। ইতোপূর্বে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঠানো এক চিঠিতে গুতেরেজ জানান, রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর পড়া প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সঙ্কট নিয়ে আপনার উদ্বেগের সাথে আমি একমত। রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের জন্য উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাসহ মিয়ানমার সঙ্কটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সাথে আমি আমার বিশেষ দূতের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব। এ ছাড়া রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক ও জীবিকার সহায়তা আরো বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালাতে জাতিসঙ্ঘে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারভিত্তিক কর্মী দলকে আমি নির্দেশনা দিয়েছি। জাতিসঙ্ঘ এই ইস্যুতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে, যার মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ সারা মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।
গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন, রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরো বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে। জাতিসঙ্ঘ ব্যবস্থা কিভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তম সমর্থন করতে পারে তা বোঝার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শে আমরা সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।
গুতেরেজ বলেন, জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশের সাথে দৃঢ় সংহতি জানাচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে।


আরো সংবাদ



premium cement
ইংল্যান্ডের বিদায়, আশায় আফগানিস্তান পাটজাত পণ্যে ভারতের অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কের সমাধান চায় বিজেএসএ আমরা ক্ষমতায় গেলে পুঁজিবাজারকে ধারণ করব : আমীর খসরু প্রহসনের কোনো নির্বাচনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ অংশ নেয়নি : আব্দুল আজিজ হাওলাদার ১-৩ গোলে হার বাংলাদেশের ব্যাংকে কত টাকা আছে জানালেন নাহিদ ইসলাম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশের বিক্ষোভ আজ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থে রাখাইনে স্বীকৃতি পেতে পারে আরাকান আর্মি ভোরে পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিদর্শন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ছাত্রদের নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা বেসরকারি শিক্ষার্থীদের ইংল্যান্ডকে বিদায় করে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান

সকল