ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ তা’মীরুল মিল্লাতের শিক্ষার্থী হাফেজ নাসির
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
২০ জুলাই তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসার টঙ্গী ক্যাম্পাসের পাশেই গাজীপুরা এশিয়া পাম্পের কাছে মাদরাসার ছাত্ররা সমবেত হয়। তারা বিভিন্ন সেøাগান দিতে থাকে। মিছিল শুরু হয়। হঠাৎ মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ বাহিনী। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে একটি গুলি এসে এফোড় ওফোড় করে দেয় নাসির ইসলামের বুক। সহযোদ্ধারা তাকে দ্রুত ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন হাফেজ মো: নাসির ইসলাম।
২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শহীদ হাফেজ মো: নাসির ইসলাম রংপুরের কাওনিয়া থানার প্রান্নাথপুর গ্রামে ২০০৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। গার্মেন্ট ব্যবসায়ী বাবা মো: আশরাফুল ইসলাম ও গৃহিণী মা মোসা: নাজমা আক্তারের একমাত্র পুত্র সন্তান ছিলেন নাসির ইসলাম। দম্পতির ঘরে আরো দুই কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা হলেন- আমেনা খাতুন ও আছিয়া মনি। তারা দু’জনেই মেট্রো স্কুল অ্যান্ড কলেজের যথাক্রমে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। শহীদ নাসির তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা টঙ্গী শাখার আলিম প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৯ সালে তানযীমুল উম্মাহ মাদরাসা, উত্তরা শাখা থেকে সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় মাত্র পাঁচ মাসে হেফজ সম্পন্ন করেন নাসির।
শহীদের বাবা মো: আশরাফুল ইসলাম বলেন, এমন ছেলে কয়জনের ভাগ্যে জোটে জানি না। কখনো তার ২০০ টাকার প্রয়োজন হলে সমপরিমাণ টাকাই চাইত। আবার ৫-১০ টাকা বাঁচলে সাথে সাথে আমাকে ফেরত দিত। চেষ্টা করতাম কিছু টাকা তার কাছে বেশি দিয়ে রাখতে। ওই দিন (২০ জুলাই) বিকেল ৫টায় ছেলের মোবাইল থেকে হাসপাতালের ডাক্তার আমাকে ফোন করে বলেন যে, আপনার ছেলে অ্যাক্সিডেন্ট করেছে। আপনি দ্রুত কুর্মিটোলা হাসপাতালে আসেন। আমি গেলাম; কিন্তু ছেলের তাজা মুখটা আর দেখতে পেলাম না। আমার ছেলেটার কী দোষ ছিল?
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা