চকরিয়ায় প্রাণ গেল মা ও শিশু সন্তানের
অন্যান্য স্থানে নিহত আরো ৩ জন- নয়া দিগন্ত ডেস্ক
- ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:৫০
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক মা ও তার শিশু সন্তানের। এ ছাড়া অন্যান্য স্থানে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন আরো ৩ জন।
চকরিয়া (কক্সবাজার) সংবাদদাতা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর গয়ালমারা এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও পাথরবোঝাই ড্রাম ট্রাকের সংঘর্ষে মা ও তার শিশু ছেলে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো সাতজন।
নিহত ২ জন হলেন আইরিন নিগার (৩৫) ও তার ৬ মসের শিশু সন্তান মোহাম্মদ আরহাম। আইরিন চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ারা উপজেলার ফাজিলহাট এলাকার নোমান রশীদের স্ত্রী। আহতদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। স্থানীয়রা ও পুলিশ জানিয়েছেন, কক্সবাজার থেকে আসা একটি বাস চকরিয়া আসার সাথে পাথরবোঝাই একটি ড্রাম ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই বাসের যাত্রী আইরিন নিগার (৩৫) প্রাণ হারান। এ সময় তার কোলে থাকা ছয় মাসের শিশু মোহাম্মদ আরহাম আহত হয়। তাকে পুলিশ উদ্ধার করে চকরিয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় দ্রুতগতির একটি প্রাইভেটকার অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালক শরিফুল ইসলাম (৪৭) নিহত হয়। তিনি ভালুকা উপজেলার কাঁঠালী গ্রামের কুদ্দুস মণ্ডলের ছেলে। দুর্ঘটনায় অটোরিকশার এক যাত্রী আহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে ভালুকা বাসস্ট্যান্ডে ইউটার্ন এলাকায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি অটোরিকশা ইউটার্ন নেয়ার সময় ঢাকাগামী একটি দ্রুতগতির প্রাইভেটকার ধাক্কা দিলে অটোরিকশা চালক শরিফুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ সময় এক যাত্রী আহত হয়। আহত যাত্রীকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় প্রইভেটকার রেখে চালক পালিয়ে গেছে। পুলিশ প্রাইভেটকারটি আটক করেছে।
রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানায়, রাজবাড়ীর পাংশায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী শাম্মু মিয়া (৪৩) নিহত হয়েছে। এ সময় বাইসাইকেল আরোহী সাহেদ আলী গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত শাম্মু পাংশার বাংলাট এলাকার সাবেক পুলিশ অফিসার মৃত সাঈদ মিয়ার ছেলে।
সোমবার দুপুর ২টার দিকে পাংশা উপজেলার রুপিয়াট জামে মসজিদের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পাংশা থানার ওসি সাহাবুদ্দিন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শাম্মু মিয়া একটি মোটরসাইকেলে করে পাংশা যাচ্ছিলেন।
পথ্যিমধ্যে রুপিয়াট এলাকায় হঠাৎ করে অপর একটি বাইসাইকেলের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষের ধাক্কায় শাম্মু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে মসজিদের দেয়ালে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ সময় তার মাথা ফেটে গুরুতর আহত হন।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাজবাড়ীতে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে শাম্মু মিয়া মারা যান।
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা জানান, ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় জোবেদা খাতুন (৯৬) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।
রোববার বিকেলে উপজেলার গফরগাঁও ইউনিয়নের দুগাছিয়া এলাকার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বৃদ্ধা দুগাছিয়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের নাতি বাবলু মাস্টার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত বৃদ্ধা দুগাছিয়া মোড় থেকে অটোরিকশা করে বাড়ির সামনে এসে নেমে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এ সময়ে দ্রুতগতিতে আসা একটি মোটরসাইকেল ধাক্কা দিলে বৃদ্ধা ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় পর বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা