স্মার্ট কার্ড ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত লেখা মুদ্রণের কাজ পাচ্ছে মেশিন টুলস
- বিশেষ সংবাদদাতা
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৯
নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ‘স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন’ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত লেখা মুদ্রণ’ এর কাজ পাচ্ছে বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) লিমিটেড। এ জন্য মোট ব্যয় হবে আট কোটি ৪৬ লাখ টাকা। সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি অর্থাৎ বিনা টেন্ডারে কাজটি সমাধা করা হবে।
অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির আজকের সভায় প্রস্তাবটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভাটি সচিবালয়ে বিকেলে অনুষ্ঠিত হবে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আরডিপিপি’তে প্যাকেজ এনসিএস-২৭ ‘স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা মুদ্রণ’ হিসেবে একটি প্যাকেজ রয়েছে। প্যাকেজ এনসিএস-২৭ এর আওতায় ১.৭৯ কোটি স্মার্ট কার্ডের পার্সোনালাইজেশন ও বিতরণের সংস্থান রয়েছে যার প্রাক্কলিত ব্যয় ৫৭.৬৯ কোটি টাকা। চুক্তি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ নির্বাচন কমিশন সচিবালয় এবং ক্রয় পদ্ধতি হিসেবে ‘সরাসরি ক্রয়’ উল্লেখ রয়েছে ।
জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় কর্তৃক ২০১১-২০২২ সাল মেয়াদে বিশ্বব্যাংকের সহায়তাপুষ্ট মূল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পটি অধিক নিরাপত্তা সংবলিত স্মার্ট আইডি সিস্টেম প্রবর্তনের কাজটি সম্পন্ন করার দায়িত্ব পায়। কিন্তু স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেন নাগরিকদের মাঝে বিতরণ কাজ অর্ধ সমাপ্ত অবস্থায় শেষ হওয়ার প্রেক্ষাপটে কাজটি চলমান রাখা ও চূড়ান্তভাবে নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড প্রদানের লক্ষ্যে আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। এই প্রকল্পের বিভিন্ন কার্যক্রমসমূহ এখনো বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, মূল আইডিইএ প্রকল্পের আওতায় ফ্রান্সের ওবাথুর টেকনোলজিস (ওটি)-এর সঙ্গে ২০১৫ সালে স্মার্ট কার্ড মুদ্রণ, বিতরণ ইত্যাদি কার্যক্রমের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও চুক্তির মেয়াদে মাত্র ১৪.৩৪ শতাংশ অগ্রগতি সাধিত হওয়ার পর চুক্তিটি বাতিল করা অনিবার্য হয়ে পড়ে। এর ফলে ব্ল্যাংক স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ, কার্ড মুদ্রণ, বিতরণ সাপ্লাই চেইনে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ এবং জরুরি এ কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষার্থে আইডিইএ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় জরুরি ভিত্তিতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) এর সহায়তায় এ কার্যক্রম চলমান রাখা হয়।
সূত্র জানায়, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশনের কারিগরি প্রযুক্তি অর্জন এবং আনুষঙ্গিক সুবিধা স্থাপন সম্ভব হয়নি। কিন্তু স্মার্ট কার্ডের চাহিদা অব্যাহত থাকায় আইডিইএ (২য় পর্যায়) আরডিপিপির এনসিএস-২৭ প্যাকেজটিকে জরুরি প্রয়োজনে এনসিএস-২৭ (লট-১) ও এনসিএস-২৭ (লট-২) এ বিভাজন করা হয়। অতঃপর নির্বাচন কমিশনের অনুমোদনক্রমে বিএমটিএফ-এর সহায়তায় সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে ইতোমধ্যে দুই ধাপে মোট ১.৫৩৪১ (১.১৫+০.৩৮৪১) কোটি স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন করে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ করা হয়েছে।
গত ২০২৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচন কমিশনের ২৮তম সভায় ‘২০২৪ সালের জুন থেকে অবশিষ্ট যে সংখ্যক কার্ড পার্সোনালাইজেশন হবে তার জন্য নতুন করে বিএমটিএফের সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করা যেতে পারে’ মর্মে একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। ফলে মূল প্যাকেজ এনসিএস-২৭ এর অবশিষ্ট ২৫.৫০ লাখ (বীর মুক্তিযোদ্ধা খচিত ২ লাখ ৫০ হাজার লাখ) স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন কাজটি অনুমোদনক্রমে এনসিএস-২৭ (লট-২) হিসেবে বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা (২০২৪-২০২৫) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চলতি ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থানও রয়েছে।
সূত্র জানায়, ২৫.৫৯ লাখ স্মার্ট কার্ড পার্সোনালাইজেশন ও ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ খচিত লেখা মুদ্রণ প্রাক্কলিত ব্যয় ৮৬৮.৪৫ লাখ টাকা (আট কোটি ৬৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা)। এ অবস্থায়, পিপিআর, ২০০৮ এর বিধি ৭৬ (২) অনুসারে যেহেতু এনসিএস-২৭ (লট-২) এর প্রাক্কলিত মূল্য ৮৬৮.৪৫ লাখ টাকা এবং ‘সরাসরি ক্রয়’ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। তাই বাংলাদেশ মেশিন টুলস্ ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) লিমিটেডের সঙ্গে সরাসরি চুক্তি সম্পাদনে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সুপারিশ নেয়ার জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা