ভোমরা বন্দর দিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার টন চাল এসেছে তিন মাসে
- সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
- ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৩৫
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে গত তিন মাসে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় চাল আমদানি হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন চাল। খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানির সুযোগ দেয়ায় গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে আমদানি শুরু হয়। মন্ত্রণালয় থেকে অনুমোদনপ্রাপ্ত ৮৪টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোমরা বন্দর ব্যবহার করে ভারত থেকে এই পরিমাণ চাল আমদানি করে।
এ দিকে আমদানি স্বাভাবিক থাকলেও সাতক্ষীরার হাটবাজারগুলোতে চালের দামের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে না। পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকলেও স্থানীয় বাজারে গত সপ্তাহে প্রকারভেদে চালের দাম আগের তুলনায় কেজিপ্রতি এক-দুই টাকা বেড়েছে। বাজারে মোটা চাল ৫৫ টাকা, আটাশ চাল ৬৫-৭০ টাকা, মাঝারি ব্রি-২৯ বিক্রি হচ্ছে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা। মিনিকেট নামে পরিচিত সরুচাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা। ইন্ডিয়ান মিনিকেট ৭৫ টাকা, বাসমতি ৯০ টাকা, পাইজাম ৫৬ থেকে ৬০ টাকা দরে খুচরা বিক্রি হচ্ছে। সরু নাজিরশাইল বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। কাটারিভোগ ও অন্যান্য সুগন্ধি চালের দাম আরো বেশি। আমন ধানের ভরা মৌসুম শেষে এ মূল্য খুবই অস্বাভাবিক। চালের আমদানি প্রক্রিয়ায় দাম কমার কথা থাকলেও উল্টো আরো বাড়ছে। এতে কষ্ট পাচ্ছে গরিব খেটে খাওয়া মানুষ।
ক্রেতারা অভিযোগ করে বলছেন, ব্যবসায়ীরা অন্যায্য মুনাফা অর্জন করছেন ভোক্তাদের কাছ থেকে। আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে চালের দাম বেশি। তাই আমদানি করা চালের দামও বেশি। সেজন্য আমদানি করা চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। যার প্রভার পড়েছে বাজারে।
অপর দিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতে চালের দাম বেশি থাকায় আমদানিকৃত চালের দামও বেশি পড়ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের। আপাতত বাজারে চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।
এ অবস্থায় চাল আমদানির শুল্কমুক্ত সুবিধার সময়সীমা আরো বাড়ানো হয়েছে। আমদানির জন্য বরাদ্দ পাওয়া আমদানি কারক প্রতিষ্ঠানগুলো আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত ভারত থেকে চাল আমদানি করতে পারবে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ভোমরা স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো: আবু মুসা জানান, চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভোমরা বন্দর দিয়ে ১ লাখ ১১ হাজার ৩৩৮ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে।
ভোমরা স্থল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মো: রুহুল আমিন বলেন, দেশের শীর্ষ আমদানি কারক ব্যবসায়ীরা শুল্কমুক্ত সুবিধায় ভারত থেকে চাল আমদানি করছে। যেহেতু চাল নিত্যপণ্য ও বাজারে রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। সেহেতু আমদানিকৃত চাল বন্দরে আসা মাত্রই দ্রুত ছাড়করণের ব্যবস্থা করা হয়। চাল আমদানির সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। আশা করা যায় সামনে দামের ওপর প্রভাব পড়বে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা